চিকিৎসকদের আশঙ্কা কিছুটা সত্যি বলেই প্রমাণিত হল। দুর্গা পুজো শেষ হতেই বেড়েছে করোনা সংক্রমণ। এদিকে সামনেই কালীপুজো। মানে ফের একবার রাস্তায় ঢল নামবে উৎসবমূখী বাঙালির। আর এই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতেই নতুন বিধি লাগু হল। যেখানে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে কালীপুজোর মণ্ডপে কোনও ধরনের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করা যাবে না। তবে, ঠাকুর দেখা যাবে, কিন্তু তা করোনাবিধি মেনে। আর এতেই নিজের ক্ষোভ প্রকাশ করলেন জোজো।
যদিও আপাতত তমলুকেই এই নিয়ম লাগু করেছে। কালীপুজো সেখানে প্রায় প্রতিটা পুজো মণ্ডপেই ধুমধাম করে হয়। বিভিন্ন ক্লাব থেকে দর্শক টানার জন্য আয়োজন করা হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের। আর যেখানে হাজির হন কলকাতা ও মুম্বইয়ের শিল্পীরা। তবে, এবার সেসব বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছে তমলুক প্রশাসন। সঙ্গে কোনো ডিজেও বাজানো যাবে না।
এক দৈনিক সংবাদপত্রে প্রকাশিত সেই খবর শেয়ার করে জোজো লিখলেন, ‘একটা কথা কিছুতেই বুঝতে পারছি না। সব কিছুর উর্দ্ধে মিউজিশিয়ানদের ওপরেই কেন কোপ পড়ছে প্রতিবার। গান-বাজনা কি দোষ করল? এর পিছনের যুক্তিটা কি? বাকি সবকিছুই তো হচ্ছে।’
জোজোর সেই পোস্টে গায়িকাকেই সমর্থন জানাতে দেখা গেল নেটপাড়ার। অনেকেরই দাবি, স্টেজ আর্টিস্টদের এই দু'বছর ধরে কীভাবে পেট চলছে তার খোঁজ একবারও সরকার রাখছে না। আরেক ব্যক্তির মন্তব্য, এখনও আমাদের সমাজ এটাই বোঝে না গান গেয়ে বা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করেও কিছু পরিবারের পেট চলে। সঙ্গে কেউ কেউ আবার রাস্তায় মাস্ক পরে না বেরনো মানুষদের বিরুদ্ধে কেন কোনও পদক্ষেপ নিচ্ছে না সরকার, তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন।