রবিবার প্রকাশ্যে আসে চার নম্বর পরীক্ষাকেও কনিকার কাপুরের শরীরে মিলেছে করোনা ভাইরাসের উপস্থিতির প্রমাণ। তারপর উদ্বেগ প্রকাশ করে গায়িকার পরিবার। এবার ইনস্টাগ্রামে একটি আবেগঘন পোস্ট শেয়ার করলেন কনিকা। বেবি ডল গায়িকাকে নিয়ে একদিকে যেমন সমালোচনার শেষ নেই, তেমনই তাঁর ভক্তরা কিন্তু বেশ চিন্তিত কনিকার স্বাস্থ্য নিয়ে। এদিন অনুরাগীদের আশ্বস্ত করে কনিকা জানান, তিনি আইসিইউ-তে ভর্তি নন। পরিবার ও সন্তানদের সঙ্গে দেখা করবার জন্যই তাঁর মন কাঁদছে।
রবিবার রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে একটি জীবনমুখী প্রবাদ ভাগ করে নেন ইনস্টাগ্রামের দেওয়ালে-' জীবম আমাদের সময়ের সদ্ব্যবহার করতে শেখায় এবং সময় আমাদের শেখায় জীবনকে আরও বেশি মূল্য দিতে'। এই পোস্টের ক্যাপশন হিসাবে কনিকা লেখেন,'ঘুমোতে যাচ্ছি, তোমাদের সবার জন্য অনেক ভালোবাসা। সুরক্ষিত থাকুন। আমাকে নিয়ে এত চিন্তা করার জন্য ধন্যবাদ কিন্তু আমি আইসিইউ-তে নেই। আমি ঠিক আছি। আশা করছি আমার পরের পরীক্ষাটি নেগেটিভ আসবে। বাড়ি যাওয়ার অপেক্ষায় রয়েছে। পরিবার ও আমার সন্তানদের খুব মনে পড়ছে।
২০শে মার্চ ইনস্টাগ্রামেই করোনা আক্রান্ত হওয়ার খবর প্রথম শেয়ার করে নিয়েছিলেন কনিকা। যদিও দিন কয়েক আগে সেই পোস্ট ডিলিট করে দেন শিল্পী। ইনস্টাগ্রাম পোস্টে সামালোচকদের কড়া কথা হজম করতে না পেরেই পোস্ট ডিলিট করে দিয়েছেন কনিকা, এমনটাই মনে করা হচ্ছে। প্রসঙ্গত, ২০ মার্চ থেকে লখনউয়ের সঞ্জয় গান্ধী পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্স হাসপাতালে চিকিত্সাধীন গায়িকা। ৯ মার্চ লন্ডন থেকে দেশে ফেরার পর ১১ মার্চ মুম্বই থেকে কানপুর এবং তারপর লখনউ পৌঁছান গায়িকা। সেখানেই প্রথম সর্দি-কাশি এবং তারপর জ্বরে আক্রান্ত হন কনিকা কাপুর, এরপর ২০ মার্চ পরীক্ষায় কনিকার শরীরে মেলে Covid-19।
কনিকার পরিবারের এক সদস্য জানিয়েছেন, ‘এবার আমরা সত্যিই কনিকা টেস্ট রিপোর্ট নিয়ে চিন্তিত। মনে হচ্ছে কনিকা চিকিত্সায় কোনওরকম সাড়া দিচ্ছেন না, আর লকডাউনের এই পরিস্থিতিতে কনিকা এয়ারলিফট করে চিকিত্সার জন্য অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভবকর নয়। আমরা শুধু ওর সেরে উঠবার জন্য প্রার্থনা করতে পারি’। যদিও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আগেই জানিয়েছ, কনিকার পরিস্থিতি স্থিতিশীল রয়েছে। এবার সেই দাবিতে শিলমোহর দিয়ে দিলেন স্বয়ং করোনা আক্রান্ত কনিকা কাপুর।