কাছের মানুষকে হারালেন গায়িকা লোপামুদ্রা মিত্র। সকাল সকাল সোশ্যাল মিডিয়ায় মনখারাপ করা পোস্ট শেয়ার করলেন গায়িকা। জানালেন প্রয়াত হয়েছেন বাউল গানের পরিচিত নাম ষষ্ঠী দাস বাউল।
লোপামুদ্রা একটি ছবি শেয়ার করে লিখেছেন, ‘এতো তাড়াতাড়ি ষষ্ঠীদা চলে যাবেন, ভাবিনি। একটা কথাই শুধু মনে হচ্ছে, জয়-লোপা এক্সপ্রেস, যে কারণে আবার কাজ শুরু করছিল, তার প্রধান কারণ, ষষ্ঠী দাস বাউল দাদার চিকিৎসার জন্য কিছু অর্থ সংগ্রহ করা।’
‘অনুষ্ঠান স্থগিত রেখেও গত ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, আমরা আমাদের প্রাথমিক কাজটা করে এসেছিলাম, তোমার সাথে গান, গল্প, আড্ডা, কত পরিকল্পনা। অনেক ইচ্ছে মনের ভেতরেই থেকে গেল, ষষ্টিদা। জয়-লোপা এক্সপ্রেস চলবে, দিন-ক্ষণ সব ঠিক করে ফেলেছি আমরা। এর মধ্যে তুমি না বলে চলে গেলে।’, আরও লিখলেন লোপামুদ্রা।
আরও পড়ুন: পরবর্তী সিনেমার নাম ‘কিং’ কেন? জবাব দিলেন শাহরুখ, ‘যাতে আমেরিকার মানুষ বোঝে…’
বলে রাখা ভালো, ১৩ সেপ্টেম্বর কলকাতার বিড়লা সভাঘরে একসঙ্গে পারফর্ম করার কথা ছিল স্বামী-স্ত্রীর। কিন্তু সেই শো শেষ মুহূর্তে এসে তাঁরা বাতিল করে দেন। আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদেই ছিল সেই সিদ্ধান্ত।
নিজের পোস্টে বাউল ষষ্ঠী দাসের জন্য লোপামুদ্রা আরও লিখলেন, ‘বড্ড মন খারাপ করবে যে আমাদের। পরলোকে ভালো থেকো বাউল দাদা। আবার দেখা হবে, আমার মনের মানুষের সনে।’
আরও পড়ুন: হাসপাতাল থেকে প্রথম সেলফি, বউকে চুমু কাঞ্চনের! শ্রীময়ী-কন্যা কৃষভির ছবিও কি দেখা গেল
১৯৯৭ থেকে ২০০৭ সাল অব্দি টানা লোপামুদ্রার গানের আসরে সঙ্গত দিতেন জয়। আসলে গানই যে তাঁদের একসঙ্গে বেঁধে দিয়েছিল। বাংলা সংগীতের দুনিয়ার এই জুটিকে বেশ ভালোবাসে সকলে। আবারও চলতে শুরু করেছে জয়-লোপা এক্সপ্রেস। কলকাতা কনসার্টের দিনক্ষণেরও হয়তো ঘোষণা হবে কিছুদিনের মধ্যে। দু দিন আগে সেই মর্মে একটি পোস্টও করেছিলেন গায়িকা। তারই মাঝে ঘটে গেল এই অনভিপ্রেত ঘটনা।
আরও পড়ুন: রেগে গিয়ে সাংবাদিকের হাতের ফোন কেড়ে নিলেন রাজপাল যাদব! দাবি, ছুঁড়ে ফেলারও…
মে মাসে একসঙ্গে পারফর্ম করা নিয়ে জয় সরকার সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছিলেন, ‘লোপার সাথে মঞ্চে গীটার বাজানোটা একসময় আমার রোজকার কাজ ছিল। সেই সূত্রেই দুজনের পরিচয়, প্রেম এবং পরিণয়। মোটামুটি ১৯৯৭ থেকে ২০০৭ সাল অব্দি টানা বাজানোর পর আমি নিজের সঙ্গীত পরিচালনার কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়ি, আর লোপাও বাধ্য হয় আমার বিকল্প খুঁজে নিতে। আমরা প্রবলভাবে মিস করতাম একসাথে মঞ্চে থাকার সেই উত্তেজনা, ভালোলাগা, পারফরম্যান্স শেষে ভাগ করে নেওয়া করতালির আওয়াজ।’
‘পছন্দের গানবাজনা, আড্ডা আর সঙ্গে গান তৈরির গল্প, এই হলো অনুষ্ঠানের মূল উপজীব্য। সেই কারণে মঞ্চ মাঝেমধ্যে হয়ে ওঠে আমাদের বাড়ির বৈঠকখানা। অতিভাগ্যবানরা সাক্ষী হয়ে যান দাম্পত্য কলহের। এই অনুষ্ঠানে আমাদের নিজেদের একসাথে করা কাজই থাকে সিংহভাগ। এছাড়াও লোপা যখন তখন তাক থেকে নামিয়ে ধূলো ঝেড়ে গেয়ে ফেলতে পারে বহুদিনের না গাওয়া কোনও সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়, শক্তি চট্টোপাধ্যায় অথবা শঙ্খ ঘোষ। আমার গিটারে বেজে ওঠে রাগ যোগ অথবা ঝিঁঝিটের আলাপ। কখনও বা গেয়ে উঠি একসঙ্গে।’, জয়-লোপা এক্সপ্রেস নিয়ে লিখেছিলেন জয় সেইসময়।