নোবেলের গান একসময় মন জয় করে নিয়েছিল দুই পাড় বাংলার মানুষের মন। তবে হঠাৎই ছন্দপতন। বাংলাদেশের এই গায়ক খবরে আসতে থাকলেন নানা ধরনের বিতর্কিত কারণে। ব্যক্তিগত জীবনও টালমাটাল। সামাজিক মাধ্যমে দুদিন আগেই বলেছেন মৃত্যুর কথা। আর তারই মাঝে বৃহস্পতিবার তাঁর বিরুদ্ধে উঠল মদ্যপ অবস্থায় বাংলাদেশের এক অনুষ্ঠানে গান গাইতে ওঠার অভিযোগ। যা নিয়ে মুখ খুলেছেন তাঁর স্ত্রী সালসাবিল মাহমুদও।
সেদিন গান গাইতে এমনিতেই নির্ধারিত সময়ের থেকে দেরিতে মঞ্চে ওঠেন নোবেল। জানা যায়, বাংলাদেশের ফুলবাড়ি ডিগ্রি কলেজে নোবেলের গান পরিবেশনের কথা ছিল রাত ৯টায়। প্রায় ১১টা নাগাদ ওঠেন মঞ্চে। এরপর গান গাইতে গাইতে তাঁর কথা জড়িয়ে যেতে থাকে। একসময় স্টেজের উপর বসেও পড়েন নোবেল। উত্তেজিত জনতা এরপরেই তাঁর দিকে ছুড়ে মারেন চটি থেকে বোতল। কলেজ কর্তৃপক্ষের সহযোগিতায় কোনওক্রমে মঞ্চ ত্যাগ করেন গায়ক।
বাংলাদেশের এক সংবাদমাধ্যমকে নোবেলের স্ত্রী বলেছেন, ‘নোবেল আগে নমাজ পড়ত। মঞ্চে ওঠার আগেও নমাজ পড়া বাদ যেত না। এমনকী, সারেগামাপা অনুষ্ঠানে সবাইকে বসিয়ে রেখেও নমাজ পড়েছে ও। কী ভাবে এতটা বদলে গেল ও?’
‘ওর যদি কোনও শারীরিক সমস্যা হত, তা হলে আমি নিশ্চিত, মানুষ ওর জন্য প্রার্থনা করত। কিন্তু এ সমস্যা মানসিক, তাও মদের কারণে। নোবেল তো প্রথম থেকে এরকম ছিল না। আমিই ওকে চিনতে পারছি না।’, সালসাবিল যোগ করেন নিজের বক্তব্যে।
নোবেলের জীবনে এখন শুধুই বিতর্কের ঘনঘটা। এই তো দিনকয়েক আগেও ফেসবুকে তিনি লিখেছিলেন, ‘কেরিয়ার ধ্বংস হয়ে গিয়েছে আমার, শুধুমাত্র মৃত্যুই এখন বাকি আছে। তোমাকেও স্বাগত প্রিয়। তোমাকেও গ্রহণ করে নেব…’
দিনকয়েক আগে নোবেলের স্ত্রীকে এক সাক্ষাৎকারে বলতে শোনা যায়, '২০২০ সালে বান্দারবনে ঘটা একটা ঘটনার কারণে আমিই নোবেলকে বিবাহ বিচ্ছেদের নোটিশ পাঠিয়েছিলাম। ও তখন নেশায় ডুবে থাকত। যদিও পরে ও ভুল বোঝে নিজের এবং নেশা করা কমায়। কিন্তু কদিন পরে আবার নেশা শুরু করলে আমি আলাদা থাকা শুরু করি। আমাদের এখনও আইনি বিচ্ছেদ হয়নি। কিন্তু তাও ও সবাইকে বলে বেড়াচ্ছে আমাদের নাকি বিবাহবিচ্ছেদ হয়ে গিয়েছে।'
সালসাবিল সাফ জানিয়েছেন বিবাহবিচ্ছেদ তাঁদের এখনও হয়নি, তবে শীঘ্রই তা হবে।
(এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup)