মা ও সন্তান, এই সম্পর্ক এবং বন্ধনের সঙ্গে আর কোনও কিছুরই হয়ত তুলনা চলে না। একজন মায়ের কাছে সন্তানই তাঁর জীবন, আবার সন্তানদের কাছেও মা জীবনের অনেকটা জুড়ে থাকেন। আর এই আবেগটা সন্তানরা মায়ের উপস্থিতিতে না অনুভব করতে পারলেও অনুপস্থিতিতে বেশ বুঝতে পারেন। এই যেমনটা ঘটল গায়ক রূপঙ্কর বাগচীর সঙ্গে।
১১ অগস্ট, রবিবার ছিল রূপঙ্কর বাগচীর মা সুমিত্রা বাগচীর জন্মদিন। তবে তিনি আর বেঁচে নেই। ১১ বছর আগেই মাকে হারিয়েছিলেন রূপঙ্কর। তাই তাঁর স্মৃতিই এখন সম্বল। সোশ্যাল মিডিয়ার পাতায় তাই মাকে নিয়ে স্মৃতিমেদুর হয়ে পড়লেন রূপঙ্কর। মা সুমিত্রার সঙ্গে নিজের ছোটবেলার ছবি শেয়ার করে আবেগঘন রূপঙ্কর লেখেন, ‘এখন আমি বাড়ি ফিরছি শো করে। Lunch হয়নি। খুব খিদে পেয়েছে। ২০১৩ এর আগে হলে তুমি এতক্ষণে অনেকবার ফোন করে ফেলেছো। খেয়েছি কিনা জানতে চাইছো। আমি খুব বিরক্ত হয়ে বারবার বলছি, কেন এতবার কল করো বলতো মা! আর বিরক্ত হই না,কারণ তুমি আর ফোন করোনা।’
সব শেষে গায়ক মাকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়ে লিখেছেন, 'শুভ জন্মদিন মা'।
এদিকে মাকে নিয়ে আবেগতাড়িত রূপঙ্কর বলেন, তাঁর মাকে নিয়ে অজস্র স্মৃতি ভেসে আসছে। তাঁর মননে মায়ের অনেক প্রভাব রয়েছে। যেমন গল্পের বইয়ের নেশা থেকে রবীন্দ্রনাথের প্রতি টান, এসবই তিনি তাঁর মায়ের থেকে পেয়েছেন। বনেদী-অভিজাত পরিবারের সন্তান ছিলেন তাঁর মা। সুমিত্রা বাগচীর মধ্যে তাই ছিল শিক্ষা-সংস্কৃতির সহাবস্থান। সঙ্গে তাঁর মধ্যে ছিল প্রতিবাদী সত্ত্বাও। অন্যদিকে রূপঙ্করের বাবা ছিলেন খুবই সাধারণ পরিবারের ছেলে। তাই তাঁকে যখন তাঁর মা জীবনসঙ্গী হিসাবে বেছে নিয়ছিলেন, তাঁর দাদু এবং মায়ের পরিবার ভীষণই অসন্তুষ্ট ছিলেন। এমনকি বিয়ের একমাস পরেও তাঁর মায়ের সঙ্গে কথা বলেননি তাঁর দাদু, কারণ তিনি আঘাত পেয়েছিলে মেয়ের সিদ্ধান্তে। তবে তাতে রূপঙ্করের মা সুমিত্রা বাগচী দমে যাননি।