তিন-দিন আগেই করোনা সংক্রমণের বলি হয়েছেন সংগীত পরিচালক শ্রবণ রাঠোর। কোভিড পজিটিভ হওয়ার দিন কয়েক আগে স্ত্রীকে নিয়ে হরিদ্বারে কুম্ভ মেলায় যোগ দিয়েছিলেন ‘আশিকী’ ছবির সংগীত পরিচালক, সেকথা সংবাদমাধ্যমকে জানান তাঁর পুত্র। এবার সংগীত শিল্পী উদিত নারাণয়ের কন্ঠেও শোনা গেল একই আক্ষেপ। তাঁর কথায়, কুম্ভ মেলা থেকে শ্রবণ কুমারের ফোন পেয়েছিলেন তিনি।
করোনা সংক্রমণের জেরে ইতিমধ্যেই মৃত্যু হয়েছে শ্রবণ কুমার রাঠোরের, অন্যদিকে তাঁর স্ত্রী ও দুই পুত্রর কোভিড রিপোর্টও পজিটিভ। হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন তাঁরা। এক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাত্কারে উদিত নারায়ণ বলেন, করোনা আবহে শ্রবণ কুমারের এই ধর্মীয় সমাবেশে যাওয়ার কথা শুনে চমকে উঠেছিলেন তিনি। উদিতের কথায়, ‘শ্রবণ ভাই সম্প্রতি কুম্ভ মেলায় যোগ দিয়েছিলেন এবং আমাকে ফোন করে জানন, আমি পুণ্যস্নানের জন্য এসেছি। আমি ওঁনাকে জানাই উনি আগে থেকে জানালে আমিও ওঁনার সঙ্গে যেতাম। তবে ফোনে কথাবার্তা শেষ হওয়ার পর আমি চিন্তা করলাম এই অতিমারীর সময়ে উনি কেন ওখানে গিয়েছেন? ওঁনার আগে থেকেই স্বাস্থ্য সংক্রান্ত জটিলতা রয়েছেন। তবে উনি কারুর কথা শোনেননি, আর আজ উনি আমাদের মধ্যে নেই। ওঁনার আত্মার শান্তি কামনা করি’।
এর আগে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে দেওয়া এক সাক্ষাত্কারে শ্রবণ রাঠোরের ছেলে সঞ্জীব বলেন, করোনা পজিটিভ হওয়ার দিন কয়েক আগেই তাঁর বাবা-মা মহাকুম্ভের মেলা থেকে ফিরেছিলেন। তিনি জানান, ‘আমি দুঃস্বপ্নেও ভাবিনি আমার পরিবারকে এমন একটা কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যেতে হবে। আমার বাবা চলে গেলেন, আমার মা করোনা আক্রান্ত, আমারও রিপোর্ট পজিটিভ। আমার ভাইও (দর্শন) করোনা আক্রান্ত, ও হোম আইসোলেশনেই ছিল। কিন্তু যেহেতু বাবা মারা গিয়েছেন ওঁকে শেষকৃত্য করবার অনুমতি দেওয়া হয়েছে’।
সঞ্জীব এবং তাঁর মা বিমলাদেবী আপতত সেভেনহিলস হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। তবে ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠছেন তাঁরা।
বৃহস্পতিবার রাতে মুম্বইয়ের মাহিমের এসএল রাহিজা হাসপাতালে মৃত্যু হয় ৬৬ বছর বয়সী শ্রবণ রাঠোরের। নব্বইয়ের দশকের সুপারহিট মিউজিক পরিচালক জুটি ‘নাদিম-শ্রবণ’-এর অন্যতম শ্রবণ রাঠোর। ‘আশিকী’, ‘সাজান’, ‘সিরফ তুম’, ‘সড়ক’, ‘দিলওয়ালে’র মতো অজস্র হিট ছবির সুপারহিট গান কম্পোজ করেছেন এই জুটি।