সঙ্গীতজীবনে ৫০ বছর পার করেও এখনও গোটা দেশের সেরা এন্টারটেনারদের তালিকায় একদম প্রথমের দিকে থাকে তাঁর নাম।কথা হচ্ছে কলকাতার দিদি ঊষা উত্থুপ। লকডাউনে কেমনভাবে সময় কাটছে বাংলার এই রকস্টারের, ফিভার নেটওয়ার্কের 100 Hours 100 Stars অনুষ্ঠানে এসে নিজের লকডাউনের রোজনামচা শেয়ার করে নিলেন ঊষা উত্থুপ।
সঙ্গীতশিল্পী জানান, আমি খুব ভোরে উঠি,লকডাউনেও সেটা বজায় রয়েছে। ৪.৩০ ঘুম থেকে উঠি, ৬.৩০ অবধি আমার প্রার্থনা চলে। এরপর আমি তৈরি হয়েনি মর্নিং ওয়াকের জন্য।কিন্তু তারপর খেয়াল হয় ওমা লকডাউন! তাই বাড়ির ড্রয়িং রুমেই হাঁটাচলা করি। মাসখানেক আগেই আমার হাঁটুতে অস্ত্রোপচার হয়েছে।তাই সেদিকে খেয়াল রাখতে হয়।
ঘরবন্দি এই জীবনে আর কি করছেন তিনি? জরুরি পরিষেবায় যুক্ত ব্যক্তি আমাদের সকলকে সুস্থ ও স্বাভাবিক রাখতে যেভাবে নিজেদের উজার করে দিচ্ছেন সেটা ভেবেই আপ্লুত ঊষা উত্থুপ।তিনি বললেন, ‘আমি আমার নাতনির জন্য সোয়েটার বুনছি। এছাড়াও আমার ড্রাইভার সদ্যই বাবা হয়েছেন,তাঁর মেয়ের জন্যও নিজের হাতে জামা তৈরি করছি’, জানালেন এই বর্ষীয়ান শিল্পী। নাতনির জন্য বোনা সোয়েটার হিন্দুস্তান টাইমসের দর্শকদের দেখালেন ঊষাজি।
গানে গল্প,আড্ডায় RJ জোয়ার সঙ্গে জমে উঠেছিল ঊষা উত্থুপের আড্ডা। অন্ধকারের শেষে আলোর কিরণের দেখা মিলবেই, আত্মবিশ্বাসের সুরে জানালেন ৭২ বছর বয়সী এই তারকা সঙ্গীতশিল্পী। গান-জীবনের ৫০ পার করলেও গান গাইবার অনুরোধ তিনি ফেরান না, তাই জোয়ার অনুরোধে, ডার্লিং,সোনোরিটার মতো গান গুনগুন করলেন ঊষা উত্থুপ।
করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে দুঃস্থের পাশে দাঁড়াতেই #100Hours100Stars-র উদ্যোগ নিয়েছে ফিভার নেটওয়ার্ট। দেশের সবচেয়ে বড় ডিজিট্যাল এই ফেস্টের মাধ্যমে জরুরি পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের কুর্নিশ জানাচ্ছে ফিভার নেটওয়ার্ক ও হিন্দুস্তান টাইমস।এই ক্যাম্পেনের মাধ্যমে সংগৃহীত অর্থ দান করা হবে পিএম কেয়ার্স ফান্ডে।