‘পিরিয়ডস কা মতলব হেলদি হ্যায় আপ…বডি পে ইউটেরাস লাইনিং বনায়ে,… খুনকে রূপ পে বো বাহার আয়ে, পর ডরনে কে নেহি ইয়ে কোয়ি ভি বাত’। সম্প্রতি এক স্কুলে গিয়ে ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে মিলে এমনই গান জুড়লেন শ্রেয়া ঘোষাল। একই কাজ করেছেন গায়িকা সুনিধি চৌহান।
তবে হঠাৎ কেন এমন কাজ করেছেন তাঁরা?
কৈশোর বয়স ছেলে এবং মেয়ে, উভয়ের শরীরেই নানা পরিবর্তন আসে। বিশেষতই এই সময়টাতেই কিশোরীদের শরীরে পিরিয়ডস শুরু হয়। তবে সচেতনতার অভাবে, সঠিক শিক্ষা বা ধারণা না থাকায় বহু কিশোরীই হঠাৎ এমন ঘটনায় আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। এমনকি দেশের বিভিন্ন প্রান্তে আতঙ্কিত হয়ে আত্মঘাতী হওয়ার মতো ঘটনাও ঘটেছে। তাই এটা নিয়ে সচেতনতার প্রচার করা প্রয়োজন। তাই এবার সেই দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নিলেন শ্রেয়া ঘোষাল, সুনিধি চৌহানের মতো দুই গায়িকা।
শ্রেয়া ও সুনিধির গাওয়া এই গানের বিষয়বস্তু হল ঋতুস্রাব কোনও ভয়ের বিষয় নয়। বরং ঋতুস্রাব সুস্থতার কথাই বলে। গানের ভিডিয়ো শেয়ার করে শ্রেয়া ঘোষাল লিখেছেন, ‘আমি আমার কেরিয়ারে হাজার গান গেয়েছি। তবে এই গান আমার কাছে বিশেষ গান। এই গান স্কুল পড়ুয়া মেয়েদের কাজে লাগবে। এই গানটা ঋতুস্রাব দিবসে প্রকাশিত হল। যাতে স্কুলে মেয়েরা বোঝে ঋতুস্রাব হওয়া মানে তারা সুস্থ।’
একই ভাবে সুনিধি চৌহানও এই গানের ভিডিয়ো শেয়ার করে লিখেছেন, ‘আপনারা সবাই জানেন। মঞ্চে গান গাইতেও আমার কত ভালো লাগে। তবে এই গান গেয়ে আমি আনন্দ পেয়েছি। ঋতুস্রাব হওয়ার অর্থ শরীর সুস্থ। দেশের অল্পবয়সী মেয়ে এবং তাঁদের বাবা-মা শিক্ষক-শিক্ষিকা সকলের কাছেই এই বার্তা পৌঁছানো দরকার। সকলকে সচেতন করতে বিশ্ব পিরিয়ডস ডে-র থেকে ভালো দিন আর কীইবা হতে পারে! এই গানটি লাইক ও শেয়ার করাও আপনাদের দায়িত্ব।’
ঋতুস্রাব নিয়ে সমাজে অনেক অকারণ কু-সংস্কার ও ছুঁৎমার্গ রয়েছে। আজও বিষয়টি নিয়ে খোলামেলা কথা বলতে সঙ্কোচ বোধ করেন অনেকেই। আর তাই একটা ব্র্যান্ডের সঙ্গে জোট বেঁধে সচেতনতা তৈরি করেন দুই গায়িকা। আর তার জন্য গান গেয়েছেন শ্রেয়া ও সুনিধি। বিশ্ব পিরিয়ডস ডে উপলক্ষ্যে সোশ্যাল মিডিয়াতেও সেই গানের ভিডিয়োটি শেয়ার করেছেন দুই গায়িকা। যেখানে স্কুলে গিয়ে ঋতুস্রাব নিয়ে ছাত্রাছাত্রীদের সচেতন করতে দেখা গিয়েছে দুই গায়িকাকে।