Tusshar Kapoor: নিজের জন্য আদর্শ জীবন সঙ্গী খুঁজছেন ৫ বছরের পুত্র সন্তানের বাবা তুষার কাপুর
1 মিনিটে পড়ুন . Updated: 15 Jan 2022, 08:04 AM IST- সারোগেসির মাধ্যমে ২০১৬ সালে বাবা হয়েছিলেন তুষার। এত বছর পর বিয়ে নিয়ে মুখ খুললেন জিতেন্দ্র পুত্র।
কাঙ্ক্ষিত সফল্য আসেনি অভিনেতা হিসাবে, তবে জিতেন্দ্র পুত্র হওয়ার সুবাদে তুষার কাপুরকে চর্চা থেমে থাকে না। ২০১৬ সালে বাবা হওয়ার খবর জানিয়ে চমকে দিয়েছিলেন অবিবাহিত তুষার। হ্যাঁ, সারোগেসির মাধ্যমে পুত্র সন্তানের বাবা হয়েছিলেন ‘গোলমাল’ খ্যাত এই অভিনেতা।
'সিঙ্গল ফাদার' হওয়াটা সহজ নয় তবে নিজের সিদ্ধান্তে হামেশাই পরিবারকে পাশে পেয়েছেন তুষার। এবার অবিবাহিত হয়েও বাবা হওয়ার সৌভাগ্য অর্জন নিয়ে আস্ত একটা বই লিখে ফেলেছেন তিনি। বইটির নাম ‘ব্যালেচার ড্যাড: মাই জার্নি টু ফাদারহুড অ্যান্ড মোর’।
বিয়ে প্রসঙ্গটা বরাবার এড়িয়েই চলেন তুষার। তবে প্রথমবার আদর্শ সঙ্গী নিয়ে মুখ খুললেন এই তারকা পুত্র। ৬ বছরের ছেলের বাবা সম্প্রতি জানিয়েছেন সঠিক জীবনসঙ্গী খোঁজবার ব্যাপারে এখনও আগ্রহী, তবে প্রেমের সন্ধান করছেন না তিনি। তুষার বলেন, ‘আমি এথনও আদর্শ জীবন সঙ্গী খোঁজবার বিষয়ে আগ্রহী। সেই নিয়ে তো সবারই আগ্রহ থাকাটা জরুরি। কিন্তু এমন নয় যে আমি কোনও সঙ্গী ছাড়া অসম্পূর্ণ রয়েছি এখন, অথবা আমার জীবন অসম্পূর্ণ এই ভেবে বিয়ের জন্য উঠে পড়ে লেগেছি। আমার মনে হয় আমি সম্পূর্ণ, এবং সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছি। তবে কোনও বিষয় নিয়ে জীবনে কখনও না বলা উচিত নয়, জানি না ভাগ্যে কী লেখা রয়েছে’।
তুষারের পর সারোগেসির মাধ্যমে মা হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তাঁর দিদি একতা কাপুরও। তুষারের মতো এখনও বিয়ে করেননি জিতেন্দ্র-কন্যাও। তাঁর ছেলের নাম রবি। জিতেন্দ্রর আসল নামেই ছেলের নাম রেখেছেন এই বলি প্রযোজক।
ডিসেম্বর মাসে ইনস্টাগ্রাম পোস্টে তুষার জানিয়েছিলেন অবিবাহিত হলেও সারোগেসির মাধ্যমে বাবা হওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়াটাই তাঁর জীবনের সবচেয়ে আনন্দের মুহূর্ত। এবং তাঁর লেখা বই ‘ব্যাচেলার ড্যাড’-এ উঠে এবার পিতৃত্বের এই অপ্রচলিত জার্নি। তাঁর এই সফর তথা সিদ্ধান্তে যে সব মানুষদের তিনি পাশে পেয়েছেন তাঁদেরও ধন্যবাদ জানান তুষার। তবে একা হাতে সন্তান মানুষ করবার ব্যাপারে বহু প্রশ্ন, এমনকী কটাক্ষের শিকারও হয়েছেন অভিনেতা। এই বইয়ের মাধ্যমে সেই সব প্রশ্নের উত্তর দিতে চেয়েছেন তুষার, ভাগ করে নিতে চেয়েছেন কেন সিঙ্গল ফাদার হওয়ার সিদ্ধান্তটাই তাঁর জীবনের সবচেয়ে সেরা সিদ্ধান্ত।