যুদ্ধ নিয়ে সিনেমা, আর সেই্র ‘স্কাই ফোর্স’ ছবির হাত ধরে বলিউডে পা রাখতে চলেছেন জাহ্নবী কাপুরের হবু দেওর বীর পাহাড়িয়া। তাঁর বিপরীতে দেখা যাবে সারা আলি খানকে। ছবিতে রয়েছেন সুপারস্টার অক্ষয় কুমার পাহাড়িয়া। এদিকে ছবি মুক্তির আগে সম্প্রতি শহিদ স্কোয়াড্রন লিডার আজ্জামাদ বোপ্পেয়া দেবাইয়ার পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন তিনি। যিনি কিনা মহাবীর চক্র প্রাপক। তাঁর চরিত্রের অনুপ্রেরণাতেই তৈরি হয়েছে বীর পাহাড়িয়ার চরিত্রটি।
প্রয়াত স্কোয়াড্রন লিডারের পরিবারের সঙ্গে দেখা করলেন বীর
সোমবার বেঙ্গালুরুতে আজ্জামাদ বোপ্পেয়া দেবাইয়া-র স্ত্রী সুন্দরী দেবিয়ার সঙ্গে দেখা করেন বীর পাহাড়িয়া। যাঁর বয়স বর্তমানে প্রায় ৯০ বছর। তিনি তাঁদের দুই মেয়ে স্মিতা ও পৃথার সঙ্গে আলাপ করেন বীর। সুন্দরী দেবিয়ার পা ছুঁয়ে প্রণাম করতেও দেখা যায় বীর পাহাড়িয়াকে। সেই ছবি ও এই দেশনায়কের বীরগাথা কিছু ছবি নিজের ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করেছেন বীর পাহাড়িয়া।
নিজের পোস্টের সঙ্গে বীর পাহাড়িয়া লেখেন, 'গত সাড়ে তিন বছর আমি 'স্কাই ফোর্স'-এj 'ট্যাবি' চরিত্রে অভিনয়ের জন্য প্রস্তুতি নিয়েছি। আর এই সময়টা আমি এই অসাধারণ মানুষটির জীবন ও বীরত্ব সম্পর্কে জানার জন্য নিজেকে নিমজ্জিত করেছিলাম। আমি ভেবেছিলাম আমি তাঁর সাহসিকতা এবং আত্মত্যাগ বুঝতে পেরেছি। তবে আজ তাঁর পরিবার যাঁরা তাঁকে জানতেন, ভালবাসতেন এবং স্মৃতিকে এখনও সম্মানের সঙ্গে বাঁচিয়ে রেখেছেন, তাঁদের কাছ থেকে বীরের উপাখ্যান শুনে - আমার মাথা আরও নত হয়ে এল।'
বীর পাহাড়িয়ার কথায়, ‘বেঙ্গালুরুতে কিংবদন্তি মহাবীর চক্র প্রাপক, স্কোয়াড্রন লিডার আজ্জামদ বি দেবাইয়ার ৯০ বছর বয়সী স্ত্রী মিসেস সুন্দরী দেবাইয়া এবং তাঁদের মেয়ে স্মিতা এবং পৃথার সঙ্গে দেখা করার পরে আমি আজ যে আবেগ অনুভব করেছি তা ভাষায় প্রকাশ করা কঠিন।’
প্রজাতন্ত্র দিবসের ঠিক আগে ২০২৫-এর ২৪ জানুয়ারি মুক্তি পেতে চলেছে স্কাই ফোর্স। যেখানে কিনা অক্ষয় কুমার একজন বিমান বাহিনীর অফিসারের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন। যাঁকে তাঁর সহযোদ্ধাদের মৃত্যুর পরে প্রতিশোধ নেওয়ার মিশনে দেখা যাবে। হাই-স্টেক থ্রিলারটি পরিচালনা করেছেন সন্দীপ কেওলানি এবং অভিষেক কাপুর। আর এই ছবিতে অক্ষয়ের সঙ্গেআরেক বায়ুসেনা অফিসারের চরিত্রে দেখা যাবে বীর পাহাড়িয়াকে। ছবিতে বীরের স্ত্রীর চরিত্রে অভিনয় করেছেন সারা আলি খান। ছবিতে নিমরত কৌরকেও মুখ্য চরিত্রে দেখা যাবে।
চলতি মাসের শুরুর দিকে ট্রেলার লঞ্চের সময়, অক্ষয় সেনাবাহিনীর সঙ্গে তাঁর সংযোগের কথা শেয়ার করে বলেন, ‘আমার বাবা সেনাবাহিনীতে ছিলেন, তাই এই অনুভূতিটি আমার মধ্যে অন্তর্নিহিত’। অক্ষয়ের কথায়, টযখন আমি এই ইউনিফর্ম পরি, তখন এটা স্বয়ংক্রিয়ভাবে আমাকে শক্তি জোগায়। আমি এর আগে সেনাবাহিনীর অন্যান্য পোশাক পরেছি, কিন্তু এই প্রথম আমি ভারতীয় বায়ুসেনার ইউনিফর্ম পরছি।'