সোমবার গভীর রাতে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন কর্ণাটকের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা ভারতের প্রাক্তন বিদেশ মন্ত্রী এসএম কৃষ্ণ। দীর্ঘদিন অসুস্থ থাকার পর হঠাৎ করেই সোমবার রাতে ৯২ বছর বয়সে মারা যান তিনি। নিজের বাসভবনে রাত ২:৪৫ মিনিট নাগাদ শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন এই বিখ্যাত রাজনীতিবিদ।
দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে একাধিক মনে রাখার মতো কাজ করেছেন তিনি। ১৯৬২ সালে নির্দল প্রার্থী হয়ে মদ্দুর বিধানসভা আসন থেকে জয়ী হয়েছিলেন তিনি। ২০১৭ সালে কংগ্রেস থেকে মুস্তাফা দিয়ে যোগ দেন বিজেপিতে। বয়সজনিত কারণে গত বছরের জানুয়ারি মাসে সক্রিয় রাজনীতি থেকে অবসর ঘোষণা করেন তিনি।
ভারতের এই প্রাক্তন বিদেশমন্ত্রীর একাধিক স্মরণীয় কাজের মধ্যে একটি হল তিনি ২০০০ সালে কন্নড় অভিনেতা রাজকুমারকে সফল ভাবে উদ্ধার করে এনেছিলেন বীরাপ্পানের হাত থেকে। অভিনেতাকে সুস্থ ভাবে ফিরিয়ে আনার জন্য তিনি উল্লেখযোগ্য কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিলেন যার সরাসরি প্রভাব পড়ে ২০১৪ সালে এসেম্বলি ইলেকশনের ওপর।
আরও পড়ুন: স্বপ্নপূরণ সারেগামপার অনন্যার! জীবনের নয়া অধ্যায় শুরু করে লিখলেন, 'বিয়ের রমরমা মাঝে...'
আরও পড়ুন: বিয়ের পিঁড়িতে ‘মেম বউ’, কোথায় হারিয়ে গেলেন জলসার নায়িকা? বিনীতার হবু বর কে?
২০০০ সালের ৩০ জুলাই তৎকালীন বিখ্যাত ডাকু বীরাপ্পান অপহরণ করেন রাজকুমারকে। গোটা ঘটনায় রীতিমতো শোরগোল পড়ে যায় সর্বত্র। তবে তৎকালীন কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী এসএম কৃষ্ণ টানা তিন মাস নিরলস প্রচেষ্টা করে অবশেষে রাজকুমারকে উদ্ধার করে নিয়ে আসেন।
১৯৯৯ সালে কন্নড় অভিনেতার সাফল্যের পরেই এই অপহরণের ঘটনাটি ঘটে। গোটা ঘটনাটি ভীষণ বুদ্ধি সহকারে হ্যান্ডেল করেন এসএম কৃষ্ণ। শুধু তাই নয়, তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী সঙ্গে ক্রমাগত যোগাযোগ রাখেন তিনি।
তৎকালীন কুখ্যাত বীরাপ্পান সেই সময় ১৬৪টি হত্যার মামলায় অভিযুক্ত ছিলেন। শুধু তাই নয়, হাতি হত্যা ছাড়াও একাধিক অপরাধমূলক কাজের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তিনি। তবে রাজকুমারের অপহরণের ঘটনাটি ঘটার পর রীতিমত সকলে তটস্থ হয়ে যান।
আরও পড়ুন: ‘ভুলভুলাইয়া’-র পর এবার ‘ভূত বাংলা’, ফের হরর-কমেডি সিনেমায় অক্ষয় কুমার! কবে মুক্তি পাচ্ছে ছবিটি?
আরও পড়ুন: সারাক্ষণ বরের সমালোচনায় মুখর ক্যাটরিনা! বয়সে বড় বউয়ের ভয়ে গুটিয়ে থাকেন ভিকি?
তামিলনাড়ুর গাজানূরে নিজের বাড়িতে একটি অনুষ্ঠানে যখন সকলে আনন্দে মেতে ছিলেন ঠিক সেই সময় অভিনেতাকে সেখান থেকে অপহরণ করেন বীরাপ্পন। তবে রাজকুমারকে উদ্ধার করার পরেও টানা এক বছর কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ রাখেন এবং সমস্ত ঘটনার আপডেট নিতে থাকেন। এসএম কৃষ্ণ যে সত্যিই একজন আদর্শ রাজনীতিবিদ ছিলেন, তা এই ঘটনাগুলি থেকে স্পষ্ট হয়ে যায়।