গরীবের মেয়ের হোটেল খোলার স্বপ্ন! এই প্রেক্ষাপটেই সাজানো জি বাংলার নতুন মেগা ডায়মন্ড দিদি জিন্দাবাদ। সোমবার থেকেই সম্প্রচার শুরু হয়েছেন ডোনা ভৌমিক এবং অয়ন ঘোষকে। ধারাবাহিকে তাঁদের নাম ডায়মন্ড মন্ডল ও হৃদান গঙ্গোপাধ্যায়। আরও পড়ুন-‘তেঁতুলপাতা’র হাত ধরে জলসায় ফিরছেন গৌরব, একান্নবর্তী পরিবারের গল্পে নায়িকা কে?
এই সিরিয়ালের প্রথম প্রোমো প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই নেটিজেনরা এই মেগার তুলনা টানতে শুরু করে স্মার্টদিদি নন্দিনীর সঙ্গে। এই সিরিয়ালকে নন্দিনীর বায়োপিক বলতেও ছাড়েননি কেউ কেউ। এবার ডায়মন্ড দিদি-কে নিয়ে মুখ খুললেন স্বয়ং নন্দিনী। মুখ খুললেন বলা ভুল, রীতিমতো কোমর বেঁধে ডায়মন্ড দিদির প্রচারে ডালহৌসীর ফুটপাতের ভাইরাল দিদি।
বিরাট এক রেস্তোরাঁ খোলার স্বপ্ন ডায়মন্ডের। সেই স্বপ্নপূরণের পথে প্রতিদিন বাধা পায় সে। তবে হাল ছাড়েনি, লড়তে জানে ডায়মন্ড। জি বাংলার ইনস্টাগ্রামের দেওয়ালে দেখা মিলল নন্দিনীর। সেখানে চেনা অবতারে স্মার্ট দিদি। টাইট প্যান্ট আর কালো টপে নন্দিনীর হেঁশেলের সামনে দাঁড়িয়ে তিনি। কানে ঝুলছে ব্লুটুথ হেডফোন।
হাসিমুখে তাঁকে বলতে শোনা গেল, ‘ডালহৌসীর ফুটপাতে নন্দিনীর হোটেল থেকে নন্দিনীর হেঁশেল পর্যন্ত আসাটা খুব সহজ ছিল না। প্রথমত নিজের সঙ্গে একটা লড়াই ছিল। সমাজে একটা রূপে আমি পরিচিত, আর একটা রূপে নিজেকে তৈরি করা। একটা সময় মনে হত এটা অসম্ভব। রাস্তাটা কঠিন হলেও আমি জিততে পেরেছি। আমার মতো আরেকজন কিন্তু আসছে…’।
'ডায়মন্ড' ডোনা তাঁর ফুড চেন খোলার স্বপ্নে পাশে পেল নন্দিনীকে। এই ভিডিয়ো দেখে সোশ্যালে রীতিমতো শোরগোল। এক নেটিজেন লেখেন, ‘তা নন্দিনীদির বায়োপিক যখন, তাহলে আসল নন্দিনীকে নিলেই তো হত’। অপর একজন লেখেন, ‘শুধু ২টো পার্থক্য আছে। ইংরাজি জানে না আর ওর (ডায়মন্ড) গলায় হেডফোন নেই।'
আপতত রাত ৯ থেকে ৯.৪৫-এর স্লটে সম্প্রচারিত হচ্ছে ডায়মন্ড দিদি জিন্দাবাদ। তিনবারের চেষ্টায় কোনওরকমে উচ্চমাধ্যমিক পাশ করেছে ডায়মন্ড। রেস্তোরাঁয় ওয়েটার ডায়মন্ড। অথচ ইংরাজিতে একেবারেই কাঁচা। রেস্তোরাঁ খেতে এসেছে সিরিয়ালের হিরো ও তার পরিবার। হিরোকে ফুড ভ্লগিং করতে দেখে, খোঁচা দেয় তাঁর বাবা। ওদিকে খাবারের অর্ডার নিতে সামনে এসে দাঁড়ায় ডায়মন্ড। মনে মনে একটু তালিম দিয়ে, ইংরেজিতে প্রশ্ন করে, ‘হোয়াট উড ইউ লাইক টু হ্যাভ’। তা শুনে নায়কের মায়ের পালটা প্রশ্ন, ‘ইজ দেয়ার এনিথিং ইউ রেকমেন্ড’।
এদিকে ডায়মন্ডের সীমিত ইংরাজি জ্ঞান, মানে জানে না সে ‘রেকমেন্ড’ কথাটার। ফলে সে তুতলে কোনওরকমে বলে ননভেজ। তাতে বেজায় চটে নায়কের পরিবার। এখানেই শেষ নয়, রেস্তোরাঁর মালিকও ইংরেজি না বলতে পারায় ডায়মন্ডকে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বের করে দেয়। সেই সময়ই তাঁর শপথ এই রেস্তোরাঁর সামনেই সে নিজের রেস্তোরাঁ খুলবে। সেই স্বপ্নের উড়ান নিয়েই এই মেগা।