বহু বছর আগে পথ আলাদা হয়েছে ঐশ্বর্য রাই আর সলমন খানের। তবে তাঁদের নিয়ে চর্চা যেন আজও। দুজনের ‘অসমাপ্ত প্রেম’ এখনও গভীরভাবে দাগ কাটে তঁদের ভক্তদের মনে। হাম দিল দে চুকে সনম ছবিতে কাজ করার সময়ই. দুজনে মন দিয়েছিলেন একে-অপরকে। সম্প্রতি সেই ছবিরই অভিনেত্রী স্মিতা জয়কার করলেন শ্যুটের দিনগুলো নিয়ে স্মৃতিচারণ।
সঞ্জয় লীলা বনশালির আইকনিক সেই সিনেমার 'ঢিল দে দে রে ভাইয়া' গানের শুটিংয়ের বিষয়ে মুখ খুলতে গিয়ে স্মিতা বলেন, শ্যুট শেষ করতে ১০ দিন সময় লেগেছিল। এমনকী, সলমন খান ও ঐশ্বর্য রাই সেটে না আসা পর্যন্ত সেটে কী ঘটেছিল, তাও প্রকাশ করেন তিনি।
আরও পড়ুন: ভোট দিতে বৃদ্ধ বাবাকে সঙ্গ দিলেন না সানি-ববি! কথার মাঝেই রেগে আগুন ধর্মেন্দ্র
এক সাক্ষাৎকারে স্মিতা বলেন, ‘আমরা যখন 'ঢিল দে দে রে ভাইয়া' গানের শ্যুট করছিলাম তখন শিফট টাইম ছিল সকাল সাতটা। কারণ আউটডোরে শ্যুট হত। ঘড়ির কাঁটা যখন ৪টে বা সাড়ে চারটে, সূর্যাস্তের সময় খুব কম শট নেওয়া হত। সেই সময়, সলমন খান ও ঐশ্বর্য রাই প্রস্তুত না হওয়া পর্যন্ত, কারণ তিনি নায়িকা ছিলেন… আমরা সকালে সাড়ে ৭টার মধ্যে সেটে চলে আসতাম।’
আরও পড়ুন: লাক্ষাদ্বীপের সাদা বালিতে মাখামাখি রুকমার, ঘুরতে কেমন খরচ হবে জনপ্রতি?
‘পুরো সেটআপ না হওয়া পর্যন্ত এবং ঐশ্বর্য এবং সলমন না আসা পর্যন্ত আমরা গানের লড়াই খেলতাম। আমাদের মধ্যে বন্ধন খুবই মজবুত ছিল। গানটির শুটিং করতে আমাদের সময় লেগেছিল ১০ দিন।’, আরও জানান স্মিতা।
আরও পড়ুন: শেষ মুহূর্তে বদলে গেল হানিমুনের জায়গা, শীতের দেশে আদরে মাখামাখি রাতুল-রূপাঞ্জনা, গেলেন কোথায়
ছবিতে ঐশ্বর্যর মায়ের ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন স্মিতা। হাম দিল দে চুকে সনম-এর পর তিনি বিশ্বব্যাপী পরিচিতি পেয়েছেন বলে জানান এই অভিনেত্রী। তিনি স্মরণ করেন যে ,যখন ছবিটি প্রথম মুক্তি পেয়েছিল, লোকেরা এটিকে ফ্লপ বলেছিল। তিনি জানান, ‘প্রথম দিকে লোকে বলত ফ্লপ, ফ্লপ। লোকের ভালো লাগছে না। কিন্তু এরপর যা ঘটল, তা আশ্চর্যজনক।’
হাম দিল দে চুকে সনম ছবিটি ১৯৯৯ সালে মুক্তি পায়। এরপর ঢাই অক্ষর প্রেম কে ও হাম তুমহারে হ্যায় সনম ছবিতে স্ক্রিনশেয়ার করেন সলমন-ঐশ্বর্য। তারপরই হয় তাঁদের সেই ‘কুখ্যাত’ বিচ্ছেদ।