স্মৃতি ইরানি, এই নামটার সঙ্গে নতুন করে আলাপ করানোর কিছু নেই। মডেল, অভিনেত্রী থেকে রাজনীতিবিদ, বর্তমানে কেন্দ্রীয় মহিলা ও শিশু উন্নয়ন এবং সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রী তিনি। দিন বদলে বদলেছে জীবন। তবে শুরুর দিকটা ঠিক এমন ছিল না স্মৃতির কাছে। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে অভিনয় জীবনের সঙ্গে জুড়ে থাকা স্মৃতির পাতা উল্টেছেন মন্ত্রী স্মৃতি।
স্মৃতি ইরানি জানিয়েছেন, শুরুর দিনগুলি ঠিক এমন ছিল না। সেসময় খুব বেশি রোজগারও করতেন না তিনি। পর্দার ‘তুলসী’ জানিয়েছেন ‘কিঁউ কি শাস ভি কভি বহু থি’করার সময় দৈনিক মাত্র ১৮০০ টাকা করে পেতেন তিনি। ২০০০ সালে টেলি ধারাবাহিক ‘অতীশ’ এবং 'হাম হ্যায় কাল অজ অর কাল'- ধারাবাহিকের হাত ধরে অভিনয় দুনিয়ার যাত্রা শুরু করেছিলেন স্মৃতি। এর পরবর্তী সময়ে তাঁকে দেখা যায় শোভা কাপুরের বালাজি টেলিফিল্মসের ধারাবাহিক 'কিঁউ কি শাস ভি কভি বহু থি'র তুলসীর চরিত্রে। সেই সব দিনগুলির কথা বলতে গিয়ে স্মৃতি বলেছেন, 'সেসময় আমায় তারকাদের মতো দেখতেও লাগত না, জীবনযাত্রা ছিল ছোটখাটো টেকনিশিয়ানসদের মতো। দৈনিক ১৮০০ টাকা পেতাম। জুবিন ও আনি যখন বিয়ে করি, তখন আমাদের কাছে মাত্র ৩০ হাজার টাকা ছিল। একদিন আমার মেকআপ ম্যান বিব্রত হয়ে বলেন, ওঁর খুব লজ্জা লাগে যখন দেখেন উনি গাড়িতে যাতায়াত করছেন, আর তুলসী ভাবি অটোতে যাতায়াত করছেন। আমায় উনি বলেন এবার আপনি একটা গাড়ি কিনুন।’
স্মৃতির কথায়, ‘কিঁউকির শ্যুটিংয়ের সময় আসাবাবপত্র নষ্ট হয়ে যাওয়ার ভয়ে সেটে কাউকে চা বা খাবার থেতে দিতেন না শোভা কাপুর। পরে তারকাদের সেটে খেতে দেওয়া হলেও টেকশিয়ানস ক্রিউ মেম্বারদের সেটে খেতে দেওয়া হত না, ওই বিষয়টা আমার খুবই বিরক্ত লাগত। একদিন দেখি যে মানুষটি ১২-১৫ ঘণ্টা নিজেই বিরতি নেননি, তিনি সবাইকে চা দিচ্ছেন। সেটে তাঁদের চা খাওয়ার অনুমতি নেই তাই তিনি চা খেতে চাইলেন না। এরপর আমি একজন স্পট বয়ের সঙ্গে সেটিং করি। মোট ৬০টি চা রেডি রাখতে বলি, যাতে আমি টেকনিশিয়ানসদের সঙ্গে বাইরে গিয়ে চা খেতে পারি। আর ওঁরাও একটু চা খেতে পারেন। এরপর একদিন শোভা কাপুর আমায় বাইরে গিয়ে চা খেতে দেখে অবশেষে টেকনিশিয়ানসদেরও ভিতরে চা খাওয়ার অনুমতি দিলেন।’