অভিনেত্রী স্মৃতি ইরানি তাঁর স্বামী জুবিন ইরানিকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন বলিউডের বেশ কয়েকজন তারকার সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার জন্য। তিনি এমনকী সেই সাক্ষাতের কথাও স্মরণ করেন, যখন তিনি প্রথম সলমন খানের সঙ্গে দেখা করেছিলেন। এমনকী, সেইসময় বাবা এবং প্রবীণ লেখক সেলিম খান তাঁকে তিরস্কারও করছিলেন।
ম্যাশেবল ইন্ডিয়া ইউটিউব চ্যানেল ‘দ্য বোম্বে জার্নি’র একটি পর্বে উপস্থিত হয়ে সলমনের বাবা সেলিম খানের সঙ্গে সাক্ষাতের ঘটনা শেয়ার করেছেন।
তিনি এই সাক্ষাতের জন্য তাঁর স্বামী জুবিন ইরানিকে কৃতিত্ব দিয়েছেন। স্মৃতির পাতায় হাঁটতে হাঁটতে স্মৃতি বলেন, ‘সেন্ট জেভিয়ার্সে সলমন এবং আমার স্বামী সহপাঠী ছিলেন। তাই জুবিন যখন প্রথম আমাকে সলমনের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিতে নিয়ে যান, তখন সেলিম খান সেখানে ছিলেন। তিনি বলেন, 'তুমি কি জানো তোমার সঙ্গী আর আমার ছেলে কি করত? তারা আমার গাড়ি চুরি করে চলে যেত। নিকাম্মে হ্যায় দোনো। আমি চুপচাপ দাঁড়িয়ে ছিলাম, আর সলমন এবং আমার স্বামী দুজনেই নীচের দিকে তাকিয়ে ছিল।’
তাঁর স্বামীর তাঁকে শাহরুখ খানের সঙ্গে দেখা করিয়ে দেওয়ার কথাও স্মরণ করেছেন স্মৃতি। অভিনেতা-রাজনীতিবিদ বলেন, ‘আমার স্বামীর সৌজন্যে আমি শাহরুখ খানের সঙ্গেও দেখা করেছিলাম। তিনি তাঁকে চিনতেন, তাই আমি তাঁকে অনেকবার বিরক্ত করতাম শাহরুখের সঙ্গে দেখা করিয়ে দেওয়ার জন্য। শাহরুখ আমাকে সাক্ষাতের পর বলেছিলেন, 'শোনো বিয়ে কোরো না। আমি বলছি, ভুলেও বিয়ে কোরো না'। আমি বলেছিলাম, 'ভাই, অনেক দেরি হয়ে গিয়েছে'।’
স্মৃতি ইরানি দিল্লির একটি মারাঠি-পাঞ্জাবি-বাঙালি পরিবারে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। রাজনীতিতে প্রবেশের আগে তিনি ১৯৯৪ সালে একজন মডেল এবং অভিনেত্রী হিসেবে তাঁর ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন। তিনি জনপ্রিয় দৈনিক ধারাবাহিক 'কিউকি সাস ভি কাভি বহু থি'তে তুলসী ভিরানি চরিত্রে জনপ্রিয়তা অর্জন করেছিলেন। তিনি মণিবেন ডটকম, তিন বহুরানিয়াঁ এবং কবিতা-সহ বিভিন্ন টিভি সিরিয়ালে কাজ করেছেন। তিনি ব্যবসায়ী জুবিন ইরানির সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন।
স্মৃতি ২০০৩ সালে বিজেপিতে যোগ দেন। পরে, তিনি জাতীয় কার্যনির্বাহী সদস্য হন এবং মাত্র এক বছর পরে মহারাষ্ট্র যুব শাখার সহ-সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০১১ সালে তিনি গুজরাট থেকে রাজ্যসভায় নির্বাচিত হন এবং ২০১৭ সালে পুনরায় নির্বাচিত হন। ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে, তিনি তৎকালীন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে আমেঠি থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন কিন্তু নির্বাচনে হেরে যান। ২০১৯ সালে, তিনি আবার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন এবং রাহুল গান্ধীকে পরাজিত করে লোকসভায় পৌঁছান। ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে, কংগ্রেস আমেঠি থেকে কেএল শর্মাকে প্রার্থী করে, যিনি স্মৃতিকে পরাজিত করেন। তিনি সম্প্রতি ‘কিউকি সাস ভি কভি বহু থি রিবুট’-এর মাধ্যমে পর্দায় ফিরেছেন। আর মিহির হিসেবে কামব্যাক করেছেন অমর উপাধ্যায়ও। ধারাবাহিকটি স্টার প্লাস ও জিও হটস্টারে সম্প্রচারিত হয়।