'কিঁউ কি শাস ভি কভি বহু থি'র 'তুলসী', এই নামেই একদিন তাঁকে চিনেছিল টেলিপর্দার দর্শক। বেশ জনপ্রিয়তাও পেয়েছিলেন তিনি। পরবর্তী সময়ে অভিনয় দুনিয়া থেকে সরে এসে পুরো দস্তুর রাজনীতিবিদ হয়ে উঠেছিলেম স্মৃতি ইরানি। বিজেপির টিকিটে নির্বাচনে জিতে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীও ছিলেন বহুদিন। শেষবার কেন্দ্রীয় সংখ্যালঘু উন্নয়ন দফতরের মন্ত্রী ছিলেন স্মৃতি ইরানি।
বেশকিছুদিন ধরেই শোনা যাচ্ছে, ফের একবার টেলিভিশনের পর্দায় ফিরতে চলেছেন স্মৃতি। শোনা যাচ্ছে, জনপ্রিয় ধারাবাহিক 'অনুপমা' দিয়ে পর্দায় ফিরতে চলেছেন স্মৃতি। বহু বছর পর ফের একবার স্মৃতির টেলিভিশনে ফেরার খবরে উচ্ছ্বসিত হিন্দি টেলিভিশনের দর্শক। তবে তাঁর টেলিভিশনে ফেরার খবরটা কি সত্যি? অনুপমা-তে পোস্ট জেনারেশন লিপ শোতে স্মৃতি ইরানি কি একটি বিশেষ ক্যামিও চরিত্রে অভিনয় করবেন?
সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করা টেলি কক্করের খবরে নিজেই কমেন্ট করেছেন স্মৃতি ইরানি। কমেন্ট বক্সে স্মৃতি লেখেন, ‘Fake News’ অর্থাৎ ভুয়ো খবর। স্মৃতির এমন কমেন্টের পর অবশ্য যাঁরা এতদিন তাঁর টেলিভিশনে ফেরার খবরে উচ্ছ্বসিত ছিলেন, তাঁরা অনেকেই হতাশ।

২০২০ সাল থেকে সিরিয়ালটি শুরু হওয়ার পর থেকে ‘অনুপমা’ সিরিয়ালটি টিআরপি তালিকায় বরাবরই শীর্ষ স্থানে ছিল। এই ধারাবাহিকের হাত ধরেই জনপ্রিয়তা পেয়েছেন অভিনেত্রী রূপালি গঙ্গোপাধ্যায়, অভিনেতা সুধাংশু পান্ডে এবং গৌরব খান্না। তবে বর্তমানে এই সিরিয়ালি ১৫ বছরের লিপ (অর্থাৎ ১৫ বছর অতিক্রান্ত করে দেখা হবে) নিয়েছে। ধারাবাহিকে দেখানো হবে অনুপমার জীবন তাঁর বড় মেয়ে আধ্যাকে খুঁজে পেতে নতুন যাত্রা শুরু করেছে।
আরও পড়ুন-অসুস্থ, হাসপাতালে ভর্তি বর্ষীয়ান লিলি চক্রবর্তী, এখন কেমন আছেন 'নিম ফুলের মধু'র ঠাম্মি?
স্মৃতি ইরানি
স্মৃতি ইরানি যখন ‘কিউকি সাস ভি কভি বহু থি’ ধারাবাহিকের হাত ধরে জনপ্রিয়তা পান, তখন সেটা ছিল ২০০০ সাল। ২০০০ থেকে ২০০৮ পর্যন্ত জনপ্রিয়তার সঙ্গে সম্প্রচারিত হয়েছিল সেই ধারাবাহিক। শোভা কাপুর এবং একতা তাদের বালাজি টেলিফিল্মসের ব্যানারে সিরিয়ালটি তৈরি হয়েছিল। যেখানে একজন একজন আদর্শ পুত্রবধূ, স্ত্রী, মা এবং ঠাকুমার ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন তুলসী (স্মৃতি)।
'কিউকি সাস ভি কভি বহু থি' সিরিয়ালটি যতদিন চলেছে ততদিন টিআরপিতে সেরা ১০-এই ছিল। পরে ২০০৩ সালে বিজেপিতে যোগ দেন স্মৃতি। পরে তিনি বিজেপির জাতীয় কার্যনির্বাহী সদস্য হন। মাত্র এক বছর পরে মহারাষ্ট্র যুব শাখার সহ-সভাপতি হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ২০১১ সালে গুজরাট থেকে রাজ্যসভায় সাংসদ নির্বাচিত হন এবং ২০১৭ সালে পুনরায় সাংসদ নির্বাচিত হন তিনি। তবে ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে তিনি তৎকালীন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে ভোটে লড়ে হেরে গিয়েছিলেন স্মৃতি। পরে যদিও ২০১৯ সালে, তিনি প্রচণ্ড লড়াই রাহুল গান্ধীকে ভোটে হারিয়ে ফের সাংসদ নির্বাচিত হন। যদিও শেষ লোকসঙা নির্বাচনে আমেঠিতে কংগ্রেস নেতা কিশোরী লাল শর্মার কাছে হেরে যান স্মৃতি।