সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের দাদা স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায়ের আইনি বিয়ে করেছিলেন গত মাসে। অর্পিতা চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে তাঁর দীর্ঘদিনের সম্পর্ক। দুজনে লিভ ইনও করছিলেন। এমনকী, গঙ্গোপাধ্যায় পরিবার-সহ সকলেই জানতেই এই সম্পর্কের ব্যাপারে। অবশেষে জুলাইতেই এক হন দুজনে।
৭ অগস্ট বুধবার ছিল রিসেপশন। ই-এম বাইপাস হোটেলে বসে বিয়ের প্রীতিভোজের আসর। এর আগেই রিসেপশনের কার্ড ভাইরাল হয়েছিল। যেখানে নিমন্ত্রণকারীর তালিকায় নাম ছিল সৌরভ আর ডোনা গঙ্গোপাধ্যায়ের। তবে সবাইকে অবাক করে রিসেপশনে থাকলেন না ডোনা।
আরও পড়ুন: জলসার বাজি! টিআরপি টপার গীতা এলএলবি, নম্বর বাড়ল কথা-উড়ানের! ফুলকি-নিম ফুলের মধু কোথায়
তবে আইনি বিয়েতে থাকতে পারেননি সৌরভ, দেশের বাইরে থাকার কারণে। রিসেপশন পার্টিতে এলেন মহারাজ। খুব সাদামাটা চেহারাতেই এসেছিলেন। ডার্ক ব্লু শার্ট আর ট্রাউজার।
রিসেপশনে অর্পিতা নিজেকে সাজান গোলাপি রঙের সিল্কের শাড়িতে। সঙ্গে মিন্ট গ্রিন রঙের ফুল হাতা ব্লাউজ। যাতে সুতোর কাজ করা। গলায় ভারী জরোয়ার হার। স্নেহাশিসকে দেখা গেল সাদা সিল্কের কুর্তা পাজামাতে।
দেখুন সেই ছবি-
স্নেহাশিস এর আগে বিয়ের পিঁড়িতে বসেছিলেন মম গঙ্গোপাধ্যায়ের সঙ্গে। চণ্ডী গঙ্গোপাধ্যায়ের প্রাক্তন বড় বউমাও নৃত্যশিল্পী। স্নেহাশিসের মতো অর্পিতারও এটা দ্বিতীয় বিয়ে। অজন্তা ফুটওয়্যার কোম্পানির মালিক সুব্রত বণিকের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ ছিলেন অর্পিতা। কোম্পানির অন্যতম ডিরেক্টর পদে ছিলেন তিনি।
আরও পড়ুন: ‘বুদ্ধমামা বলতাম, ওঁর কাছে বকাও খেয়েছি!’, বুদ্ধদেবের মৃত্যুতে শোকজ্ঞাপন উষসীর
ছত্তিশগড়ের বিলাসপুরে কেমিক্যাল কোম্পানি রয়েছে বর্তমানে অর্পিতার। আর সিএবি-র প্রেসিডেন্ট স্নেহাশিস। ২০২৩ সালে সুব্রত বণিকের সঙ্গে ডিভোর্স চূড়ান্ত হয় অর্পিতার।গত বছরের স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে বধূ নির্যাতনের অভিযোগ এনেছিলেন তাঁর প্রথম স্ত্রী মম।
আরও পড়ুন: ‘আপনি চলে গিয়ে বেঁচে গেছেন…’! পিতৃহারা কমরেডরা, মন খারাপের পোস্ট শ্রীলেখার
অর্পিতার প্রথম বিয়ে থেকে রয়েছে দুই সন্তান, সাগ্নিক এবং সৌমি বণিক। স্নেহাশিস ও মমের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। স্নেহা মার্কিন মুলুকে রিসার্চ করছেন বর্তমানে। বাবার দ্বিতীয় বিয়েতে আসেননি তিনি।
এদিকে, নেটমাধ্যমে একাধিক পোস্টে মম গঙ্গোপাধ্যায় তাঁর মনের অবস্থা তুলে ধরেছেন। যার মধ্যে একটিতে তাঁর মেয়ের জন্য বার্তা ছিল, ‘আমার মেয়ের জন্য… হতে পারে আমি পারফেক্ট নই, কিন্তু যখন আমি যখন আমার মেয়ের দিকে তাকাই, বুঝতে পারি কিছু জিনিস একদম ঠিক করেছি।’