গতকাল রবিবার ছিল সারেগামাপা ২০২১-র গ্র্যান্ড ফিনালে। যেখানে বিজেতা হওয়ার দৌঁড়ে অনেকেই ভেবে রেখেছিলেন স্নিগ্ধজিৎ ভৌমিক, অনন্যা চক্রবর্তীর নাম, সেখানে বিজেতার ট্রফি হাতে তুলে নেন নীলাঞ্জনা রায়। আলিপুরদুয়ারের এই মেয়েটি সারেগামাপা জিতল মাত্র ১৮ বছর বয়সে। তবে ফলাফলে যেমন অনেকেই খুশি, তেমনই কেউ আবার প্রতিবাদ জানাতেও শুরু করেছেন। তাঁদের মতে, এই ট্রফির আসল অধিকার ছিল স্নিগ্ধজিৎ বা অনন্যার!
নীলাঞ্জনা এই নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় লেখেন, ‘সারেগামাপা ২০২১ জিতে আমি খুব খুশি। দর্শকদের অনেক ধন্যবাদ আমাকে এত ভালোবাসা আর স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য। আমি এখনও ভাবতে পারছি না এই অসাধারণ জার্নিটা শেষ হয়ে গেল। এটা একটা দারুণ সুযোগ ছিল আমার কাছে শেখার। বিচারক, মেন্টর, আর জুরি সদস্যদের কাছ থেকে অনেক কিছু শিখতে পেরেছি। সবাইকে অনেক ধন্যবাদ। আপনাদের ভালোবাসা ছাড়া এটা সম্ভব ছিল না। আমার পরবর্তী জীবনের জন্যও আমাদের একইরকম ভালোবাসা আর আশীর্বাদ চাই।’
সোশ্যাল মিডিয়ায় সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে একটা ভিডিয়ো পোস্ট করেছেন অনন্যা চক্রবর্তী। যেখানে হুড খোলা গাড়িতে করে তাঁকে দেখা গেল সবার দিকে চুমু ছুঁড়ে দিতে। ক্যাপশনে লিখলেন, ‘Thankyou Universe ✨❤️’। আর এখনেই কমেন্ট করেছেন অনন্যার অনুরাগীরা। একজন লিখেছেন, ‘আমার জন্য আপনিই বিজেতা’। আরেকজনের মন্তব্য, ‘কালকের ফলাফল সত্যি মেনে নেওয়া যায় না। ম্যাচ ফিক্সিংয়ের থেকেও এটা জঘন্য।’
শো-তে অতিথি বিচারক হিসেবে যাঁরাই এসেছিলেন তাঁরা সকলেই প্রশংসা করেছিলেন স্নিগ্ধজিৎ ভৌমিকের গায়কীর। সাথে করে বিশাল দাদলানি নিজে তাঁকে গানে প্লেব্যাক করার অফার দিয়েছিলেন। আজ বিমানবন্দর থেকে কলকাতা ফেরার ছবি দিতে দেখা গেল স্নিগ্ধকে। সাথে অনন্যা। ছবির ক্যাপশনে লিখলেন, ‘এবার আমরা ফিরছি নিজের শহরে একটা দুর্দান্ত সফর শেষ করে।’ সেখানেও এই দুইয়ের হয়ে গলা ফাটাতে দেখা গেল নেট-নাগরিকদের। একজন লিখলেন, ‘তোমরাই আমাদের গর্ব’!
প্রসঙ্গত, সারেগামাপা-য় দ্বিতীয় হন বাংলার আরেক মেয়ে সঞ্জনা বাগ। তৃতীয় হয়েছেন মধ্যপ্রদেশের ছেলে শরৎ শর্মা। স্নিগ্ধজিৎ ভৌমিক, অনন্যা চক্রবর্তীরা প্রথম তিনে না থাকায় মন খারাপ অনেকেরই! কারও কারও মতে এই ফলাফল ভুল। ট্রফি গিয়েছএ ভুল লোকের হাতে। প্রসঙ্গত, বাংলার চার ছেলে-মেয়ে এই প্রথম কোনও জাতীয় মঞ্চের ফাইনালে একসাথে। নীলাঞ্জনা, সঞ্জনা, অনন্যা আর স্নিগ্ধজিত পৌঁছেছিলেন সারেগামাপা ২০২১-র ফাইনালে।