এই মুহূর্তে জি টিভির সারেগামাপা-র মঞ্চ কাঁপাচ্ছে বুনিয়াদপুরের ছেলে স্নিগ্ধজিৎ ভৌমিক। শুরু থেকেই উত্তরবঙ্গের এই ভূমিপুত্রের সুরে মুগ্ধ বিচারক, জুরি। চলতি সপ্তাহে সারেগামাপা-র মঞ্চ স্মরণ করছে মায়েদের। আর মা স্পেশ্যাল এপিসোডে স্নিগ্ধজিৎ-এর পারফরম্যান্স চোখের কোণ ভেজাবে সব্বার। ইতিমধ্যেই সামনে এসেছে সেই প্রোমো যা দেখেই চোখের জল বাধ মানছে না। এদিন সশরীরে সারেগামাপা-র মঞ্চে হাজির হতে পারেননি স্নিগ্ধজিৎ-এর মা। বুনিয়াদপুরের বাড়ি থেকে ভিডিয়ো কলে ছেলেকে গাইতে দেখলেন তিনি।
মাস কয়েক আগেই স্নিগ্ধজিৎ জানিয়েছিলেন তাঁর মা অসুস্থ, সেইজন্যই স্ত্রী গ্রামের বাড়িতে রয়েছে। এদিন দেখা গেল স্নিগ্ধজিৎ-এর মা অক্সিজেন সাপোর্টে রয়েছেন, পিছনে বসে রয়েছেন তাঁর স্ত্রী। এদিন ‘তারে জমিন পর’ ছবির ‘মেরি মা’ গান শোনাবেন স্নিগ্ধজিৎ। পারফরম্যান্স শেষে গায়ক জানান, কীভাবে সমাজের চোখ রাঙানি, কটূক্তির পরোয়া না করে তাঁকে জন্ম দিয়েছিলেন তাঁর সাহসী মা। স্নিগ্ধজিৎ বলেন, ‘আমার বাবা মানসিকভাবে অসুস্থ, তাই লোকজন মা-কে বলেছিল গর্ভপাত করিয়ে নাও, পাগলের ছেলে পাগল হয়েই জন্মাবে… মা আমাকে এই পৃথিবীর আলো দেখিয়েছে, এর চেয়ে বড় আর কী হবে!’
স্নিগ্ধজিৎ-এর কথা শুনে চোখ দিয়ে জল গড়িয়ে পড়ে সহ-প্রতিযোগিদের মায়েদের। শঙ্কর মহাদেবন-সহ বাকি বিচারকদের চোখের কোণও চিক চিক করে উঠে।

ইতিমধ্যেই সারেগামাপা-র চলতি সিজনের সবচেয়ে চর্চিত প্রতিযোগী হিসাবে সামনে এসেছেন স্নিগ্ধজিৎ। সোশ্যাল মিডিয়াতেও ব্যাপক অ্যাক্টিভ তিনি। অনেক সময় দারিদ্রতাকে হাতিয়ার হিসাবে ব্যবহারের অভিযোগেও বিদ্ধ হয়েছেন তিনি, তবে হেটার্সদের কড়া ভাষায় জবাবও দিয়েছেন। তবে গায়ক হিসাবে স্নিগ্ধজিৎ-এর দক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে পারবেন না নিন্দুকরাও। স্নিগ্ধজিৎ-এর হাত ধরে এইবার কি সারেগামাপা-র ট্রফি আসবে বাংলার? আপতত জবাবের অপেক্ষায় সব্বাই।