‘কাটি পতঙ্গ’ ছবিতে আশা পারেখের জন্য ‘ইয়ে শাম মস্তানি’ গান ধরেছিলেন রাজেশ খান্না। সে প্রায় পাঁচ দশক আগের কথা। ১৯৭১ সালে মুক্তি পেয়েছিল এই ছবি। এই গানটি গেয়েছিলেন বাংলার গর্ব কিশোর কুমার। শনিবার রাতে সারেগামাপা-র মঞ্চে ফের তরতাজা হল ‘কাটি পতঙ্গ’ ছবির স্মৃতি। যখন বর্ষীয়ান অভিনেত্রী আশা পারেখের সামনে ফের এই গান ধরল বাংলার ছেলে স্নিগ্ধজিৎ। ফের একবার নিজের গায়েকীর জাদুতে মঞ্চ মাতালো বুনিয়াদপুরের স্নিগ্ধজিৎ। সারেগামাপা-র চলতি সিজনের অন্যতম চর্চিত প্রতিযোগী স্নিগ্ধজিৎ, শুরু থেকেই এই বাঙালির গানের জাদুতে বুঁদ গোটা দেশ। এদিন তার অন্যথা হল না।
‘ইয়ে শাম মস্তানি’র পাশাপাশি এদিন শাম্মি কাপুর ও আশা পারেখ জুটির ‘আজা আজা মেয় হুঁ প্যায়ার তেরা’ গানটিও পারফর্ম করেন স্নিগ্ধজিৎ। আদ্যোপান্ত নাচের এই গানটি ‘তিসরি মনজিল’ ছবির সবচেয়ে জনপ্রিয় গান। দুটি ভিন্ন স্টাইলের গান এতো সাবলীলভাবে পারফর্ম করেন স্নিগ্ধ যে জুরির তরফে ১০০% নম্বর পান গায়ক। পাশাপাশি শংকর মহাদেবনের কাছ থেকে মিলল বিশেষ আর্শীবাদ আর জাদু কি ঝাপ্পি। তবে এদিন নিঃসন্দেহে স্নিগ্ধজিতের সবচেয়ে বড় পাওয়ান আশা পারেখের কাছ থেকে পাওয়া প্রশংসা বাণী।
এদিন বর্ষীয়ান অভিনেত্রী জানান, ‘প্রথমেই বলব জিনতজি যবে থেকে এই টুপি দিয়েছে… সেটার পর থেকেই তুমি একটু বেশি ভালো গাইছো, আমি দেখছি। তোমার নামের পাশেই জিত রয়েছে। আমি তো দেখছি ফাইনালে ওই ট্রফির খুব কাছাকাছি তুমি পৌঁছাচ্ছো’।
ইতিমধ্যেই সারেগামাপা-র চলতি সিজনের সবচেয়ে চর্চিত প্রতিযোগী হিসাবে সামনে এসেছেন স্নিগ্ধজিৎ। সোশ্যাল মিডিয়াতেও ব্যাপক অ্যাক্টিভ তিনি। অনেক সময় দারিদ্রতাকে হাতিয়ার হিসাবে ব্যবহারের অভিযোগেও বিদ্ধ হয়েছেন তিনি, তবে হেটার্সদের কড়া ভাষায় জবাবও দিয়েছেন। তবে গায়ক হিসাবে স্নিগ্ধজিৎ-এর দক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে পারবেন না নিন্দুকরাও। স্নিগ্ধজিৎ-এর হাত ধরে এইবার কি সারেগামাপা-র ট্রফি আসবে বাংলার? আপতত জবাবের অপেক্ষায় সব্বাই।