‘একটু বেশিই অবুঝ গুনগুন’, ‘বড়ই ন্যাকান্যাকা’— নেটিজেনদের এহেন রোষের মুখেই এখন স্টার জলসার ধারাবাহিক ‘খড়কুটো’। প্রথম থেকেই সৌজন্য এবং গুনগুনের সম্পর্কের রসায়ন মনে ধরেছে দর্শকদের। তাদের প্রেম আর ঝগড়ার চর্চা এখন বাঙালির ঘরে ঘরে।
তবে, গুনগুনের সাদামাটা স্বভাবই আর মানতে রাজি নন নেটিজেনরা। আসলে বাংলার নতুন বছরের প্রথম দিনেই ধারাবাহিকে দেখানো হয়েছিল মুখার্জি পরিবারে আসতে চলেছে এক নতুন অতিথি। পরিবারকে সেই সুখবর এনে দিয়েছে বাড়ির আরেক জুটি ঋজু ও মিষ্টি। ধারাবাহিকে দেখানো হয়, নববর্ষের প্রথম দিনেই শরীর খারাপ হয় মিষ্টির। সারাদিন সে শুধু বমি করতে থাকে। আর এর মধ্যে দিয়েই খুশির খবর খুঁজে পায় বাড়ির বড়রা। আর সেসব কিছুই বুঝে উঠতে পারেনি গুনগুন। অনেক চেষ্টার পর সৌজন্য অবশেষে গুণগুণকে গোটা ব্যাপারটা বোঝায়।
গল্পের এই দিকটাই মেনে নিতে পারেননি নেটাগরিকরা। তাঁদের দাবি, গুণগুণ এক বড় ডাক্তারের মেয়ে। ইংরেজি মাধ্যম স্কুলে পড়াশোনা করেছে। প্রাপ্ত বয়সে বিয়ে করেছে। তারপরেও এই না বোঝা কেন? কেন সে বোঝে না বাচ্চা কীভাবে হয়। ‘ধারাবাহিকের লেখক কি দর্শকদের বোকা মনে করেন?’, এহেন প্রশ্নও উঠছে সাজামিক যোগাযোগ মাধ্যমে। আর এতেই নাকি দিনদিন একঘেয়ে হয়ে উঠছে ধারাবাহিক। তাই পড়ছে টিআরপি। যা, নিসন্দেহে ধারাবাহিকের নির্মাতাদের জন্য চিন্তার বিষয়।
যদিও গুনগুন ওরফে তৃণার সমর্থনে হাজির হয়েছেন তাঁর ভক্তরাও। মিষ্টি অভিনেত্রীর মিষ্টি অবতার বড়ই ভালো লাগে তাঁদের। তাই এই ধরণের নেতিবাচক কথা মানতে একেবারেই নারাজ তাঁরা। তাই সোশ্যাল মিডিয়ায় ‘খড়কুটো লাভার্স’ আর ‘খড়কুটো হেটার্স’দের ঝগড়া অব্যাহত।