গুরুগ্রামের বিখ্যাত নবাব পতৌদি পরিবারের সঙ্গে আর পাঁচটা বাঙালি পরিবারের মিল কোথায়? পতৌদি পরিবারের প্রধান তথা বর্ষীয়ান অভিনেত্রী শর্মিলা ঠাকুর আজও রেগে গেলে চিৎকার থেকে বকাঝকা সবই বাংলাতে করেন। একথা ফাঁস করেছেন স্বয়ং শর্মিলা-কন্যা স্বয়ং। সোহা আলি খানের কথায়, শর্মিলা মাঝেমধ্যে বেশ 'বিরক্তিকর' এবং 'রেগে গেলেই বাংলায় চেঁচামেচি শুরু করেন।' সোহা আরও জানান মাঝেমধ্যেই ঝগড়া লাগে শর্মিলা এবং সইফের মধ্যে। আর মা-ছেলের মধ্যে ঝামেলা শুরু হলেই সমস্যা সমাধানের জন্য ডাক পড়ে তাঁর।
আর জে সিদ্ধার্থ কন্ননকে দেওয়া ওই সাক্ষাৎকারে একেবারে অকপটে নিজের পরিবারের নানান অজানা তথ্য শেয়ার করেছেন সোহা।এবং অবশ্যই হালকা চালে। শর্মিলা ঠাকুরের বিষয়ে বলতে গিয়ে তিনি বলে ওঠেন, ' মা কিন্তু মাঝেমাঝে বড্ড বিরক্তিকর হয়ে ওঠেন। সত্যি কথা বলতে কী মা'কে দেখে যতটা মিষ্টি লাগে ব্যাপারটা কিন্তু সবসময় মোটেই তা নয়।মাঝেমাঝে তো বেশ ভয়ই লাগে আমার।' সেখানেই না থেমে হাসতে হাসতে তিনি আরও বলেন, 'আর যাঁরা ভেবে বসে আছেন বাংলা খুব মিষ্টি একটা ভাষা, তাঁদের জন্য দুঃসংবাদ। আমার মা তো রেগে গেলে বাংলাতেই ফাটিয়ে চিৎকার করেন। টাকাপয়সার সমস্ত হিসেবও বাংলাতেই করেন। অথচ আমরা তিন ভাইবোন কেউই তেমন বাংলা জানি না। তাই কিচ্ছু বুঝতে পারি না। অথচ উনি ওই ভাষাতেই রেগে গিয়ে চিৎকার করবেন। এখানেই শেষ না। দাদা আর মায়ের মধ্যে যতবারই ঝামেলা হয়, আমাকে ডাকা হয় ওঁদের মধ্যে মধ্যস্থতা করার জন্য।'
'মা কিংবা দাদা ফোন তুলে আমার উপর চোটপাট দেখায় যেন দোষটা আমার। বুঝি, যে কথাগুলো ওঁরা পরস্পরকে বলতে পারছেন না, সেসব আমাকে বলছেন। আর আমাকে অনায়াসে সেসব বলাই যায়, পরিবারের ছোট সন্তান বলে কথা।' মিষ্টি হেসে বলেছেন সোহা। আর করিনা? তিনি কেমন? ' ও নিজের মতো থাকে। একদম বিন্দাস। ' দাবি সোহার।