ছোটবেলার স্মৃতি এখনও বেশ তাজা সোহা আলি খানের মনে। বাবা মনসুর আলি খান পতৌদি ছিলেন বিখ্যাত মানুষ। জাতীয় দলের ক্রিকেটার এবং অধিনায়ক। তার উপর নবাবের পরিবার। কিন্তু তার মধ্যেও খোলা আকাশের নীচে ঘুমোতে হত সোহা আলি খানদের। কেমন এমন কথা বলেছেন তিনি?
হালে তাঁদের পারিবারিক বাড়ি পতৌদি প্যালেসে সময় কাটাচ্ছিলেন সোহা। সঙ্গে ছিলেন স্বামী কুণাল খেমু এবং মেয়ে ইনায়া। এই বাড়িতে এলেই সোহার মনে পড়ে যায় ছোটবেলার কথা। এখানে ছোটবেলার অনেকটা সময় কেটেছে তাঁর। সোহার কথায়, ছোটবেলার স্মৃতি এখনও রীতিমতো উজ্জ্বল।
সংবাদমাধ্যমে পতৌদি প্যালেসের গল্প বলতে গিয়ে সোহা বলেছেন, ছোটবেলায় যখন সেখানে যেতেন, তখন বিদ্যুৎ ছিল না। ফলে আলো-পাখার ব্যবস্থাও ছিল না। তাই গরমের সময়ে তাঁদের মশারি খাটিয়ে খোলা আকাশের নীচে ঘুমোতে হত।
এখনও পতৌদি প্যালেস তাঁর কাছে অত্যন্ত আকর্ষণের জায়গা। সে কথাও জানিয়েছেন নবাব পরিবারের মেয়ে। বলেছেন, ‘পতৌদি প্যালেসে থাকলেই মনে হয়, প্রকৃতির মাঝে আছি। ময়ূর ঘুরে বেড়াচ্ছে, কয়েকটি কুকুর আছে। সাপখোপও বেরোয় মাঝেমাঝে। সব মিলিয়ে প্রকৃতির মাঝেই জীবন কাটে।’
হালে বড়দিন উদ্যাপনের জন্য পতৌদি প্যালেসে গিয়েছিলেন সোহা। কুণাল, ইনায়া এবং সোহার মা শর্মিলাও ছিলেন সেখানে। সোহা জানিয়েছেন, তাঁর ৫ বছরের মেয়ে নিজেই পতৌদি প্যালেসের বাগানে নানা ফল এবং সব্জির গাছ করেছে। সেই গাছের ফল থেকে স্যালাডও হয়েছে। সোহার কথায়, ‘আমরা ক্রিকেট খেলেছি, গাছপালা লাগিয়েছি, নিজেদের ফলন করা গাছ থেকে স্যালাড বানানোর ফল পেয়েছি। সব মিলিয়ে প্রকৃতির মাঝে সময় কেটেছে।’
এ প্রসঙ্গে বলতে গিয়েই উঠে এসেছে ছোটবেলার কথা। সোহার কথায়, ‘ওখানে গেলেই মনে হয়, বাবার কাছে গেলাম। ওঁর সমাধির পাশে সময় কাটাই। মনে পড়ে ছোটবেলার কথা। তখন বিদ্যুৎ ছিল না। মশারি খাটিয়ে বাইরে শুতে হত। এসিও ছিল না, মোবাইল ফোনও ছিল না। বাকি দুনিয়া থেকে পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন।’ স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে বলেছেন সোহা।