মঙ্গলবার ২৫ মে ৩৮-এ পা দিলেন বলি-অভিনেতা কুণাল খেমু। একজন সফল অভিনেতা হওয়ার পাশাপাশি স্ত্রী সোহা এবং তাঁদের মেয়ে ইনায়াকে নিয়ে ভরা সংসার কুণালের। ২০০৯ সালে 'ঢুঁনডতে রহে যাওগে' ছবির সেটে প্রথম আলাপ হয় কুণাল-সোহার। সেই আলাপ গড়ায় প্রেমে। এরপর ২০১৫ সালে সাত পাকে বাঁধা পড়েন তাঁরা। একবার হিন্দুস্তান টাইমস-কে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে সোহা আলি খান জানিয়েছিলেন তাঁর মা শর্মিলা ঠাকুরের সঙ্গে কুণালের প্রথম সাক্ষাৎ ও তাঁদের পারস্পরিক সম্পর্কের রসায়নের কথা। কুণালকে নিয়ে আলাপচারিতার ফাঁকে হাসতে হাসতে সোহা জানান যে তিনি তাঁর মা-কে রাজি করিয়েছিলেন কুণালের সঙ্গে দেখা করার ব্যাপারে। মেয়ের অনুরোধ ঠেলতে পারেননি শর্মিলা। হাজির হয়েছিলেন '৯৯' ছবির শ্যুটিং ফ্লোরে, কারণ ওই ছবির অন্যতম মুখ্য অভিনেতা ছিলেন তাঁর হবু-জামাই। আর ঠিক সেইসময়ের শটের আগে প্রস্তুতি সারছিলেন কুণাল। তাই স্রেফ তোয়ালে আর ছোট্ট শর্টস পরে ছিলেন তিনি। আর ঠিক এমন সময়েই নিজের হবু শাশুড়ির মুখোমুখি পড়ে যান তিনি। সোহার কথায়,' গোলাপি ওসঙ্গের তোয়ালে পেঁচিয়ে কোনওরকমে জড়োসড়ো হয়ে দাঁড়িয়েছিল কুণাল।' পাশে বসা তাঁর স্বামী হাসতে হাসতে বলে ওঠেন,' না,না, গোলাপি রঙের নয়। সাদা ছিল ওই তোয়ালের রং!' এরপর শর্মিলা-কন্যার কথায় জানা যায় তাঁর মা বেশ পছন্দ করেছিলেন কুণালকে সেই প্রথম আলাপেই। আর এই বলি-তারকাও যে নিজের শাশুড়ির সঙ্গে যথেষ্ট দারুণ সম্পর্ক বজায় রেখেছেন সেই প্রথম দিন থেকেই তাও অকপটে বলেছিলেন সোহা।
এখানেই না থেমে সোহা আরও জানান যে কুণালের ব্যাপারে তাঁর বাবা প্রয়াত মনসুর আলি খান পতৌদির কাছে কিছু বলার সাহস হয়নি তাঁর। তাই মাকেই বুঝিয়ে সুঝিয়ে সেই দায়িত্ব আরোপ করেছিলেন তিনি। শর্মিলা যে নিজের মেয়ের পছন্দের ব্যাপারে অত্যন্ত আত্মবিশ্বাসী ছিলেন সেকথাও হাসিমুখে স্বীকার করেছিলেন সোহা। অন্যদিকে, বাবাকে সোহার সঙ্গে তাঁর সম্পর্কের কথা বলতে গিয়ে যে বেশ অস্বস্তি বোধ করার সঙ্গে সামান্য লজ্জাও পেয়েছিলেন স্পষ্ট ভাষায় সে ব্যাপারখানা স্বীকার করেছেন সোহার স্বামী।নিজের শাশুড়িকে ভালোবাসার পাশাপাশি তাঁর সঙ্গে প্রথম সেই সাক্ষাতে যে অত্যন্ত নার্ভাস বোধ করছিলেন তিনি সেকথাও মজার ছলে অকপটে জানিয়ে দেন কুণাল। তাছাড়া তাঁর মুখ থেকেই জানা গেছিল যে স্ত্রী সোহার দাদা বলি-তারকা সইফ আলি খানের বড় ভক্ত তিনি। কুণালের মতে এক দারুন মজাদার ও মজলিশী মানুষ সইফ।