গুরুগ্রামের বিখ্যাত রাজবংশ পতৌদি পরিবারের অন্যতম সদস্য বলি-অভিনেত্রী সোহা আলি খান। বিগত বহু বছর ধরে মুম্বইতে স্থায়ীভাবে সংসার পেতে বসলেও ছুটিছাটা পেলে এখনও গুরুগ্রামে তাঁদের বিখ্যাত পতৌদি প্যালেসে হাজির হয়ে যান শর্মিলা-কন্যা। তবে মুম্বই থেকে পতৌদি আসবার সময় তাঁকে সঙ্গ দেন তাঁর ব্যক্তিগত রাঁধুনি।
পরিবারের নাম যদি বিখ্যাত রাজবংশ পতৌদি হয় তাহলে সেই পরিবারের যে বিশেষ কিছু 'নিয়ম' থাকবে এবং সেসব সবদিক থেকেই স্বতন্ত্র হবে তা বলার অপেক্ষা রাখে না।ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ প্রসঙ্গে বেশ কিছু মজার উদাহরণও দিয়েছেন সোহা। বলি-অভিনেত্রীর কথায়, 'প্রতিবারই পতৌদিতে আমার সঙ্গে ব্যক্তিগত রাঁধুনি যায়। মুম্বইতে সে উঠতে বসতে আমাকে 'দিদি' বলে ডাকলেও এখানে আসামাত্রই সেই ডাক বদলে হয়ে যায় 'সোহা বিয়া'। আমার স্বামী কুণালকে মুম্বইয়ের বাড়িতে সে 'দাদা' বলেই ডেকে অভ্যস্ত অথচ এখানে পা রাখামাত্রই তাঁর গলা থেকে সে ডাক আর বেরোয় না। 'দাদা' ডাক পরিণত হয় 'মিঞা'-তে। সোজা কথায়, পতৌদিতে পা রাখামাত্রই কিছু ব্যাপার নিজে থেকেই বদলে যায়।'
আসন্ন ওয়েব সিরিজ 'কৌন বনেগা শিখরবতী'তে গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে দেখা যাবে সোহা-কে। সেই সিরিজের প্রসঙ্গেই পতৌদি প্যালেসের কথা ওঠান সোহা। জানান বাস্তবেও তাঁর জীবনটা ঠিক সেরকমই। মুম্বই এবং পতৌদি দু'টি সম্পূর্ণ ভিন্ন জায়গা। একে ওপরের থেকে পুরোপুরি আলাদা। এখানে পুরোনো দিনের গন্ধের সঙ্গে আভিজাত্য মিলেমিশে রয়েছে সেখানে মুম্বই আবার আধুনিকতায় ঠাসা। তাই মুম্বইয়ে যা মানাবে তা এখানে কোনওভাবেই মানাবে না। উল্টোদিকে এখানের প্রায় কোনও বিষয়ের সন=অংগেই মুম্বইয়ের জীবনযাত্রায় মিল পাওয়া যাবে না।