২৬ ফেব্রুয়ারি দীর্ঘদিনের বন্ধু, ব্যবসায়ী রামগোপাল বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে সাতপাতে বাঁধা পড়েছেন ‘সোহাগ জল’-এর মউ অর্থাৎ অভিনেত্রী অস্মিতা মুখোপাধ্যায়। ২৬ তারিখ বিয়ের পর ২৭ তারিখ বিদায় নেওয়ার পালা। নিয়ম অনুযায়ী বিয়ের পর বাপের বাড়ি ছেড়ে বরের হাত ধরে শ্বশুরবাড়িতে যান নববধূ। অস্মিতার ক্ষেত্রেও তাই। তবে একী কান্না কোথায়?
সাধারণত নিজের ছোটবেলার স্মৃতি ফেলে, বাবা-মাকে ছেড়ে নতুন বাড়িতে যাওয়ার সময় যেকোনও মেয়েরই চোখে জল আসে। এটাই হয়ত স্বাভাবিক। আর এই প্রথাই চলে আসছে বহু বছর ধরে। কিন্তু অস্মিতার কান্নার কোথায় কী! তবে নাই বা কাঁদলেন মন খারাপ করে বসে থাকতেও দেখা যায়নি অভিনেত্রীকে। বেনারসি পরে সিঁদুরে ভরা সিঁথি নিয়ে ঢাকের তালে নাচতে দেখা গেল অস্মিতাকে। শুধু নাচই নয়, বরকে চুমুও খেয়ে বসলেন অস্মিতা। বোঝাই গেল বিয়ে করে তিনি দারুণ খুশি।
আরও পড়ুন-বিয়ে করলেন সোহাগ জলের 'মউ', শুভদৃষ্টির সময় চোখ মারলেন অস্মিতা, বরকে নিয়ে একী বললেন…
বিয়ের নানান মুহূর্তে ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করেছেন অভিনেত্রী অস্মিতা মুখোপাধ্যায়। অভিনেত্রীর পোস্ট থেকেই বোঝা যাচ্ছে, তাঁর বিয়ের অনুষ্ঠানের নানান মুহূর্ত বেশ মজাদার হয়ে উঠেছিল। অস্মিতার পোস্ট থেকেই জানা যাচ্ছে, এই বিয়ের অনুষ্ঠান হয়েছে হুগলির বৈদ্যবাটীর বনবীথি পিকনিক গার্ডেনে।
আবার অস্মিতা মুখোপাধ্যায়ের বিয়ের সমগ্র ভিডিয়ো উঠে এসেছে টলি টাইমের ক্যামেরায়। সেখানে দেখা যায় শুভদৃষ্টির সময় বর রামগোপাল বন্দ্যোপাধ্যায়কে চোখ মেরে বসেছিলেন অভিনেত্রী। টলি টাইমকে অস্মিতা বলেন, ‘অনেকদিন অপেক্ষায় ছিলাম, জানতাম নাতো কার সঙ্গে বিয়ে হবে, যখন জানলাম ওর (হবু বরের দিকে আঙুল দেখিয়ে) সঙ্গে হচ্ছে তখন খুব খুশি।’ গলা ধরে যাওয়ার কারণ জানিয়ে অস্মিতা মজা করে বলেন, ‘সেই সকাল থেকে চলছে, খুব ক্লান্ত, আর রিটেক হচ্ছে না তো, সবই ওয়ান টেক ওকে করতে হচ্ছে।’
জানা যায়, কলেজে পড়ার সময় এক কমন ফ্রেন্ডের সূত্রে একে অপরের সঙ্গে আলাপ হয় অস্মিতা ও রামগোপালের। ক্রমেই সম্পর্কের বন্ধন মজবুত হয় তাঁদের। বন্ধুত্বে লাগে প্রেমের রঙ। বর রামগোপাল বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায়, ‘আমি অবশ্য জানতাম। ওকে বহু আগেই বলেছিলাম ঘুরেফিরে সেই আমার কাছেই আসবি।’ বরের কথায় সহমত প্রকাশ করেন অস্মিতাও। বলেন, ‘ও আমাকে ১০-১২ বছর আগেই বলেছিল, দুনিয়া দেখে নে, সেই তোকে আমার বাড়িতেই আসতে হবে। আমার কাছেই আসতে হবে। আমিও তখন মজা করে বলতাম, আরে ঠিকআছে…দেখে নেব।’