সদ্যই জুলাই মাসে গাঁটছড়া বেঁধেছেন সোহিনী সরকার এবং শোভন গঙ্গোপাধ্যায়। একবছর চুটিয়ে প্রেম করার পর নিকট আত্মীয় এবং বন্ধুদের উপস্থিতিতে ১৫ জুলাই তাঁদের চার হাত এক হয়। আর এরপরই নাকি প্রাক্তনের নামে অন্যান্যদের কাছে অকথা কুকথা বলতে শুরু করেন রণজয়। আর সেটার কারণেই তাঁকে সোহিনী আইনি নোটিশ পাঠিয়েছেন। বাদ যাননি অভিনেতার আরেক প্রাক্তন সায়ন্তনী গুহঠাকুরতাও।
আরও পড়ুন: সারেগামাপা ফেলে মুম্বইতে রথিজিৎ, চুপিসারে চলল দেবের খাদানের গানের রেকর্ডিং, কবে আসছে ছবি?
কী জানা গিয়েছে এই বিষয়ে?
রণজয় বিষ্ণুর প্রাক্তনরা নাম না করেই কিছুদিন আগে জানান যে অভিনেতা তাঁর প্রেমিকাদের এটিএম কার্ড হিসেবে ব্যবহার করেন। সাহায্য নিয়েছেন নানা ভাবে। যদিও সেগুলো স্বীকার করেননি অভিনেতা। উল্টে জানিয়েছেন তাঁর নামে এগুলো বলার জন্য নাকি তাঁর পরিবারকে মানসিক ভাবে হেনস্থা হতে হচ্ছে, তিনি এর জবাব দেবেন তাও আইনি পথেই। জানা যায় একাধিক অভিনেত্রীর সঙ্গে সম্পর্কও ছিল তাঁর। এবার সেই অতীত সম্পর্কের কারণেই আইনি নোটিশ পেতে হল তাঁকে। তিনি আইনের সাহায্য নেওয়ার আগেই নোটিশ পেলেন।
আরও পড়ুন: আরণ্যক - গরিমার বাগদানেই প্রকাশ্যে আসবে রোশনাইয়ের বিয়ের রহস্য! সবাই কি জেনে যাবে নায়িকার বর কে?
আনন্দবাজারের তরফে তাঁদের একটি রিপোর্টে জানানো হয়েছে সোহিনী সরকার নাকি আগে রণজয়কে নোটিশ পাঠিয়েছেন। তারপর সায়ন্তনীও একই কাজ করেন। যদিও এই বিষয়ে তাঁরা কেউই মুখ খোলেননি। অভিনেতারও উত্তর এক। তিনিও কিছু জানাতে চাননি।
তবে জানা গিয়েছে গত সপ্তাহে আইনি নোটিশ পাওয়ার পর থেকে নাকি দুই পক্ষই আইনজীবীদের সাহায্য নিচ্ছেন। যদিও এখনও আদালতে মানহানির মামলা দায়ের করা হয়নি বলেই জানা গিয়েছে।
প্রসঙ্গত বর্তমানে কানাঘুষোয় শোনা যাচ্ছে রণজয় বিষ্ণু নাকি তাঁর গুড্ডি ধারাবাহিকের সহকর্মী শ্যামৌপ্তি মুদলির সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছেন। আর এই বিষয়ে খোদ রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় দিদি নম্বর ওয়ানে অভিনেত্রীকে খোঁচা দিয়েছেন। যদিও তাঁরা আনুষ্ঠানিক ভাবে নিজেদের সম্পর্ক নিয়ে কিছুই জানাননি।