সোহিনী সরকার আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে নিয়মিত পথে নামছেন। সহনাগরিকদের সঙ্গে নিয়ে বিচারের দাবিতে গর্জে উঠছে বারবার। এদিন তিনি লালবাজারের সামনেও ছিলেন চিকিৎসকদের ধর্নায়। সেখান থেকেই পিছনের দরজা দিয়ে বিনীত গোয়েল পালাতেই কী লিখলেন তিনি?
আরও পড়ুন: প্রকাশ্যে শুভশ্রীর ‘নবরূপে দেবী দুর্গা’র ঝলক, 'ব্রহ্মচারিণী' অঙ্কিতার সঙ্গে কোন রূপে থাকছেন আর কারা?
আরও পড়ুন: 'নিজের থুতু নিজেই চাটছে', ক্ষমা চেয়েও 'চিড়ে ভিজল' না! কাঞ্চনকে তুলোধোনা ঋত্বিক-অনির্বাণের
কী লিখলেন সোহিনী সরকার?
সোহিনী সরকার এদিন বিনীত গোয়েলের কাজের নিন্দে করেন। লেখেন, 'উনি আসলেন না। পিছনের দরজা দিয়ে পালিয়ে গেলেন। তার বদলে এলেন বিরোধী দলের একজন নেতা। এই সুযোগটা হাতছাড়া করা উচিত হবেনা ভেবেই ( ২০২৬ সামনেই )। শিক্ষিত ছেলেমেয়েগুলো শুধু গলার জোরেই স্লোগান তুলে তাকে বিদায় করল। সারারাত রাস্তায়, পায়ের নীচে ফুটপাত, আর মাথার ওপরে খোলা আকাশ আর উল্টোদিকে ব্যারিকেডের পাঁচিল।'
এদিন একই সঙ্গে অভিনেত্রী বিচার কবে পাবে আরজি করের নির্যাতিতা সেটা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন। লেখেন, 'আর কতক্ষন আর কতদিন থাকতে হবে আমরা কেউ জানি না। আমরা কেউ জানি না আর কতদিন গেলে বিচার পাব। আমরা কেউ জানি না থ্রেট কালচার কবে শেষ হবে। আমরা কেউ জানি না জুনিয়র ডক্টররা কবে কাজে ফিরবে। আমরা কেউ জানি না সরকার আর কবে উত্তর দেবে। আমরা কেউ জানি না আমরা সবাই কবে সমান সমান হব। তবে আমাদের ধৈর্য্য অনেক, অপেক্ষা করব।' একই সঙ্গে এই পরিস্থিতিতে এভাবে সহনাগরিকরা একে অন্যের পাশে আছেন দেখেও মুগ্ধ হয়ে সোহিনী লেখেন, 'আশেপাশের দোকান থেকে কত মানুষ এসে জল, চা, খাবার এসে দিয়ে গেলেন। কত মানুষ ফেসবুকের পোস্ট দেখে বাড়ির দরজা খুলে দিলেন বাথরুম যাওয়ার জন্য। মিছিলে এক কাকু দোকান থেকে এক কৌটো লজেন্স দিয়ে গেলেন, কোথা থেকে এত জল আসছে নিজেরাও বুঝতে পারছি না। তখন শুধু একটা কথাই মনে হয় এই মানুষগুলোকে দেখে মানুষের উপর বিশ্বাস হারানো পাপ।'
আরও পড়ুন: 'বলবি অশৌচ...' 'বোন'-এর মৃত্যুর প্রতিবাদ, এবার পুজোয় চাঁদা না দেওয়ার ঘোষণা শ্রুতির
কে কী লিখেছেন?
সোহিনী সরকারের প্রশংসা করেন অনেকেই এদিন তাঁর পোস্টে। এক ব্যক্তি লেখেন, 'এই লড়াই শুধু কারও একার না আমাদের সবার ,আমাদের রক্তে মিশে গেছে এ লড়াই, শেষ দেখে আমরা ছাড়ব।' আরেকজন লেখেন, 'আগে পর্দায় আপনার অভিনয় দেখে মুগ্ধ হতাম, এখন রাস্তায় মানুষ সোহিনীকে দেখে নতুন করে আশা করতে শুরু করেছি যে, হারাইনি সবটা, সমাজের কিছুটা গেলেও প্রায় পুরোটাই আছে আপনাদের মাঝে। সেলাম।' তৃতীয় ব্যক্তি লেখেন, 'ধৈর্য পরীক্ষা আমাদের দিতেই হবে। এই মানবজাগরণকে কুর্নিশ। আমরা এখনও বেঁচে আছি সেটা প্রতিদিন এভাবেই আমরা প্রমাণ করব। আমরাই ভোট দিয়ে সরকার নির্বাচন করি সেটা আমরা ভুলিনি। লড়াই চলুক।'