১৪ অগস্ট রাত দখলের পর ফের স্বাধীনতা দিবসের রাতে পথে নামলেন টলিউডের তারকারা। প্রতিবাদের ডাক দিয়ে পাশে দাঁড়ালেন চিকিৎসকদের। প্রতিবাদী মঞ্চ থেকে কী বললেন সোহিনী কিঞ্জল, প্রমুখ?
আরও পড়ুন: উত্তপ্ত বাংলাদেশে ধুয়ে মুছে সাফ ঋত্বিক ঘটকের স্মৃতি, রাজশাহীতে ভেঙে ফেলা হল পরিচালকের বাড়ি
আরও পড়ুন: দক্ষিণ কলকাতার একটি দুর্গাপুজোর 'মুখ' সায়নী! কোন মণ্ডপে গেলে দেখা যাবে এই বিশেষ মাতৃমূর্তি?
স্বাধীনতা দিবসের রাতে আরজি করের সামনে জমায়েত টলিউড তারকাদের
১৫ অগস্ট সকালেই বিরসা দাশগুপ্ত এবং শোভন গঙ্গোপাধ্যায় আরজি কর হাসপাতালের সামনে প্রতিবাদ জানানোর আহ্বান জানিয়েছিলেন। এদিন শোভন একটি পোস্ট করে তাতে জানান, 'আমরা দুচোখের পাতা এক করতে পারছি না যতক্ষণ না এগুলোর সমাধান হচ্ছে। যতক্ষণ না উচিত শিক্ষা যাচ্ছে অপরাধীরা। এই প্রতিবাদ একদিনে থেমে গেলে হবে না। সবাই আজ রাত ১১টা নাগাদ পৌঁছে যান আরজি করের সামনে। দেখা যাক কী হয়, প্রতিবাদ চলবে।'
একই সঙ্গে একই আহ্বান জানিয়ে পোস্ট করেন বিদীপ্তা চক্রবর্তী এবং বিরসা দাশগুপ্ত। রাত ১১টা থেকে ভোর ৫টা পর্যন্ত আরজি করের সামনে জমায়েতের ডাক দেন তাঁরা।
এরপর এদিন সময় মতোই রাতে আরজি কর হাসপাতালের সামনে একাধিক তারকাকে পৌঁছে যেতে দেখা যায়। হাজির ছিলেন দুর্নিবার সাহা, মোহর সেন, সোহিনী সরকার, শোভন গঙ্গোপাধ্যায়, রণজয় বিষ্ণু, তথাগত মুখোপাধ্যায়, উষসী রায়, মধুরিমা গোস্বামী, লগ্নজিতা চক্রবর্তী, সুজয় প্রসাদ চট্টোপাধ্যায়, প্রমুখ। তাঁরা গিয়ে ডাক্তারদের প্রতিবাদে মঞ্চে যোগ দেন। তাঁদের পাশে দাঁড়ান।
আর সেখান থেকেই অভিনেতা তথা চিকিৎসক কিঞ্জল নন্দ জানান, তাঁরা প্রশাসনের থেকে কোনও সাহায্য পাচ্ছেন না তাই তাঁরা কর্মবিরতি চালিয়ে যাবেন। যতদিন না নির্যাতিতা ন্যায় বিচার পাচ্ছেন, এই সমস্যার সুরাহা হচ্ছে ততদিন এই প্রতিবাদ চলবে বলে ঘোষণা করেন সোহিনী সরকারও।
কী ঘটেছে ১৪ অগস্ট?
গত ৯ অগস্ট আরজি কর হাসপাতালের সেমিনার হল থেকে অর্ধনগ্ন অবস্থায় উদ্ধার হয় এক মহিলা চিকিৎসকের দেহ। জানা যায় তিনি ধর্ষিত হয়েছেন। আর সেটারই প্রতিবাদ জানিয়ে বাংলার বিভিন্ন প্রান্তে ১৪ অগস্ট 'রাত দখল' করেন মহিলাটা। যোগ দেন পুরুষরাও। বেঙ্গালুরু, মুম্বইতে চলে জমায়েত। আরজি কর হাসপাতালে এদিন প্রবল ভাঙচুর এবং ধস্তাধস্তি চলে।