আরজি কর নির্যাতিতার মৃত্যু নিয়ে দলমত নির্বিশেষে উত্তাল গোটা বাংলার সাধারণ মানুষ। শুধু তাই নয়, জুনিয়র ডাক্তাররাও পথে নেমেছেন প্রতিবাদের স্বরূপ। এরমধ্যে রাজ্যে ঘটে গিয়েছে একটি অপ্রীতিকর ঘটনা। কোন্নগরের এক যুবককে নিয়ে আসা হয়েছিল আরজি করে। সেখানে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে যুবক মারা যায়। পরিবার ও শাসক দলের অভিযোগ, ডাক্তারদের গাফিলতিতেই এই মৃত্যু।
যা নিয়ে তৃণমূল সাংসদ কল্যান বন্দ্যোপাধ্যায় মন্তব্য করেছেন, ‘শুধু জাস্টিস ফর আরজি কর কেন, জাস্টিস পর কোন্নগর নয় কেন’! আর কল্যাণের এই মন্তব্যকে ঘিরে মুখ খুললেন অভিনেত্রী সোহিনী সরকার।
সংবাদমাধ্যমকে সোহিনী বলেন, ‘উনিও পতাকা ছেড়ে প্রতিবাদ মিছিলে নামুন না। আমরা তো কোনও একজনের জন্য বিচার চাইছি না। আমাদের সিস্টেমের মধ্যে যে কোরাপশন আছে, সিস্টেমের মধ্যে যে গাফিলতি আছে তার বিরুদ্ধে গলা চড়িয়েছি।’
অভিনেত্রী আরও বলেন, ‘১৪ তারিখ রাত দখল দিয়ে শুরু হয়েছিল। আজ ৮ তারিখ হতে চলল। যত মানুষ পথে নেমেছে, শুধু একজনের জন্য নামেনি। সিস্টেমে বদল হলে তো সবার জন্যই হবে। পতাকা ছেড়ে উনিও এসে যোগ দিন। হাইকোর্টের অ্যাডভোকেটরা তো নেমেছেন। হাইকোর্টের অনেক মহিলা আইনজিবীও তো রাস্তায়’।
কী বলেছিলেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়?
কোন্নগরের ২২ বছরের যুবকের মৃত্যু ঘিরে কল্যাণকে বলতে শোনা যায়, ‘আর কতগুলো মৃত্যু হলে ধর্ষিতা ও খুন হওয়া মেয়েটি বিচার পাবে বলুন তো? গরিব মানুষ মফস্বলের মানুষ বলে তার জন্য আওয়াজ তোলার কেউ থাকবে না? তার জন্য গায়ক-গায়িকারা, সমাজের এলিট ক্লাস রাস্তায় নামবে না? এটা তো সত্যি কথা যে ডাক্তারদের গাফিলতির জন্যই এই মৃত্যু হল। তাহলে শুধু কেন জাস্টিস ফর আরজি কর, জাস্টিস ফর কোন্নগর নয় কেন?’
হাসপাতাল সূত্রে খবর, ওই যুবককে নিয়ে আসা হয়েছিল ট্রমা কেয়ার বিভাগে। সেখানে অর্থপেডিক বিভাগের চিকিৎসকরা তাঁকে দেখেন । এছাড়াও, জরুরি বিভাগের চিকিৎসকরাও তাঁকে পরীক্ষা করেন। দেখা যায়, যুবকের মাথায় এবং দু'পায়ে গুরুতরভাবে আঘাত লেগেছে। এটি পরিবার জানত। পরিবারের অনুমতি নিয়ে সিটি স্ক্যানও করানো হয়। তবে শারীরিক অবস্থার অবনতির জন্য ওই যুবকের মৃত্যু হয়।
শুধু কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ই নন, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে শুরু করে অভিনেতা-সাংসদ দেব, সকলেই অভিযোগের তীরটা জুনিয়র ডাক্তারদের দিকেই রেখেছেন। দেব এক্স হ্যান্ডেলে এই নিয়ে লিখেছিলেন, ‘আমিও এই প্রাণ হারানোর বিচার চাই। আমিও চাই আমাদের আইনি ব্যবস্থায় বদল আসুক। কিন্তু অন্য প্রাণের বিনিময়ে নয়। কিন্তু অন্য প্রাণের বিনিময়ে নয়।’