‘প্রাক্তন প্রেমিকার বিয়ে হয়ে যাবার পর সেটা কে নিয়ে পাবলিশিটি করতে খুব কম গুণী মানুষই পারেন…’, সোশ্যাল মিডিয়ায় এমনই বার্তা অভিনেত্রী সায়ন্তনী গুহঠাকুরতার। এখানেই থামেননি, ‘প্রাক্তন প্রেমিক’দের সাবধান করে টলি অভিনেত্রী আরও লেখেন, ‘সতর্কও থাকুন এই সব কালজয়ী অভিনেতাদের থেকে , যারা পর্দাতে এবং বাস্তব জীবনে একসঙ্গে তাল মিলিয়ে অভিনয় করে যাচ্ছে’।
সায়ন্তনীর এই পোস্টে প্রতিক্রিয়া দিলেন সোহিনী সরকার! ওদিকে পরিচালক রাজর্ষি দে লিখলেন, ‘নমো বিষ্ণু নমো বিষ্ণু’। স্বাভাবিক ভাবেই সায়ন্তনীর এই পোস্ট ঘিরে তোলপাড়। তবে কি রণজয় বিষ্ণুকে বিঁধে এই পোস্ট সায়ন্তনীর?
ফেসবুকের দেওয়ালে ঠিক কী লিখেছেন নায়িকা?
‘প্রাক্তন প্রেমিকার বিয়ে হয়ে যাওয়ার পর সেটা কে নিয়ে পাবলিসিটি করতে খুব কম গুণী মানুষই পারেন… এরা হল তারা যারা মৃত শবের পাশে শুয়েও ইন্টারভিউ দিতে পারেন, কারণ পাবলিক সিমপ্যাথি বাড়লে এদের ফলোয়ার্সও বাড়বে। তার সঙ্গে সুবিধা হবে নেক্সট গার্লফ্রেন্ড থুড়ি নতুন এটিএম কার্ড জোগাড় করতে। আসলে সোনার ডিম পাড়া মুরগি চলে গেলে খারাপ তো সকলেরই লাগে। আমার মনে হয় নতুন এটিএম কার্ড থেকে বোধহয় এখনও টাকা তোলা যায়নি। যাক মেয়েরা সতর্কও থাকুন এই সব কালজয়ী অভিনেতাদের থেকে, যারা পর্দাতে এবং বাস্তব জীবনে একসঙ্গে তাল মিলিয়ে অভিনয় করে যাচ্ছে। হায় রে নির্বোধ দর্শক।’
কোন নায়ককে নিয়ে সায়ন্তনীর এই পোস্ট? খোলসা করেননি তিনি। তবে সদ্য বিবাহিতা সোহিনী সরকার এই পোস্টে ‘লাভ’ ইমোজি দেওয়ায় অনেকেই দুয়ে দুয়ে চার করছেন। এখানেই শেষ নয়, এই পোস্টে মন্তব্য করেছেন অভিনেত্রী প্রিয়াঙ্কা মণ্ডলও। একটা সময় রণজয়-প্রিয়াঙ্কার বন্ধুত্ব নিয়েও ইন্ডাস্ট্রিতে কম চর্চা হয়নি।

সায়ন্তনীর কাছ থেকে এই ব্যাপারে জানতে যোগাযোগ করেছিল হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা। অভিনেত্রী বলেন, 'আমি জীবনে কখনও প্রেম করে পাবলিসিটি বা কাজ কোনওটাই পাইনি। গসিপ থেকে দূরে থাকতেই ভালোবাসি। কিন্তু কখনও কখনও মনে হয় প্রতিবাদ করার প্রয়োজন আছে।
সোহিনীর প্রতিক্রিয়া নিয়ে তাঁর কী বক্তব্য? সায়ন্তনী বললেন, ‘ও রি-অ্যাক্ট করেছে? আমি খেয়াল করিনি। শুধু বলব, সোহিনী আমার খুব ভাল বন্ধু। শোভনের সঙ্গে সবে বিয়ে করেছে। সোহিনীর আগের প্রেম অনেক আগে ভেঙেছিল, ও তো কাউকে ঠকিয়ে শোভনের সাথে সম্পর্কে জড়ায়নি। ওদের দুজনকে আমার তরফ থেকে নতুন জীবনের অনেক শুভেচ্ছা ’।
আরও পড়ুন-গলায় গাঁদার মালা, হলুদে মাখামাখি সোহিনী-শোভন! ভেজা শরীরে বউকে আদরে ভরালেন গায়ক
এরপর সায়ন্তনী একটু চুপ থেকে বললেন, ‘একটা কথা বলি, মেয়েরা চুপ করে থাকে বদনাম হবার ভয়ে, অভিনেত্রী হলে তো পোয়া বারো কারণ খুব সহজেই তাঁকে চরিত্রহীন, নোংরা বলা যায়। তার নামে বানিয়ে বানিয়ে গল্প তৈরি করা যায়, এগুলোর বিরুদ্ধে গর্জে ওঠাই কাম্য, এর চেয়ে বেশি আমি আর কিছু বলতে চাই না’।