জীবনে চলার পথ যে খুব মসৃণ সেটা নয়। কখনও বিভিন্ন কারণে অবসাদ তৈরি হয়। কখনও সেটা নিজেই কাটানো যায়, কখনও বিশেষজ্ঞের সাহায্য লাগে। জীবনে এমন কঠিন সময় এলে সোহিনী সরকার কী করেন, কীভাবে মোকাবিলা করেন সেটাই এবার জানালেন।
কী জানালেন সোহিনী সরকার?
অভিনেত্রী সোহিনী সরকার সম্প্রতি রাহুল অরুণোদয় বন্দ্যোপাধ্যায়ের পডকাস্ট শো সহজ কথায় এসেছিলেন। সেখানেই তিনি জানালেন যে জীবনে নানা সময় তিনি অবসাদে ভুগেছেন। আর সেটা কাটাতে তিনি কী কী করেছেন সেটাও জানালেন। এদিন কথা প্রসঙ্গে অথৈ অভিনেত্রী বলেন, 'ডাক্তারের হেল্প করার আগে নিজেকে নিজে হেল্প করতে হবে। তবে ডাক্তার সাহায্য করতে পারবে। ডাক্তার তো একজন মানুষ। তিনি তো ঈশ্বর নন যে মাথায় হাত বুলিয়ে দিল আর সব ভালো হবে। আর জীবনে সব ভালো হবে এমনটাও তো নয়। খারাপের মধ্যে দিয়ে না গেলে ভালোটা কী করে বুঝবে। খারাপটা হওয়াটাও সমান ভাবে জরুরি।'
সোহিনী এদিন আরও বলেন, 'কখনও সুইসাইডাল টেন্ডেন্সি আসবে। জীবনে অনেক কিছু হবে। কিন্তু সেটাই আস্তে আস্তে মানুষ হিসাবে তোমায় অনেক তৈরি করে দেবে। কাউন্সেলিং, বই পড়া এগুলো আমার জীবনে খুব জরুরি। কাউন্সেলিং করাতে গিয়ে কখনও খুব কেঁদেছি, শুধু কেঁদেই গেছি। এত কেঁদেছি যে কথা বলতে পারিনি। দু চারবার যাওয়ার পর পজিটিভ এনার্জি তৈরি হয়েছে নিজের মধ্যে।' অভিনেত্রী জানিয়েছেন তাঁর মন খারাপ করলে তিনি কাজ করেন। ছোট থেকেই এটা অভ্যাস তাঁর। মনকে চ্যানেলাইজ করা বলে যে সেটা না জেনেই করতেন। তাঁর কথায়, 'এটা সত্যিই কাজের। যেই আটকে পড়ি, দমবন্ধ লাগে, ডিপ্রেশনের ফেজ চলে তখন কাজ, বই পড়া, বন্ধুরা, ডাক্তার সাহায্য করেছে।'
আরও পড়ুন: পরিচারিকার চ্যাঁচেমেচিতে ছুটে আসেন সইফ! ধস্তাধস্তিতেই আহত হন অভিনেতা, দাবি পুলিশের
কিন্তু কেন কাউন্সেলিং দরকার? এই বিষয়ে সোহিনী সরকারের মত, সব উত্তর তো বন্ধুদের থেকে পাওয়া যায় না, কারণ তাঁরা তাঁরই বয়সী। বা অভিজ্ঞতা এক বা আরও কম। আর অভিজ্ঞতা দিয়ে সব হয় না। নিউট্রাল যে বা যিনি এসব নিয়ে চর্চা করেন তাঁর সঙ্গে কথা বললে সহজ হয়।