কাগজে কলমে এখনও স্বামী-স্ত্রী রোশন-শ্রাবন্তী। কিন্তু গত ৯ মাস ধরে এক ছাদের তলায় থাকেন না এই দম্পতি। শ্রাবন্তীর তৃতীয় বিয়েও যে ভাঙনের মুখে আজ সে কথাটা কারুরই অজানা নয়। রোশন যদিও শ্রাবন্তীর সঙ্গে সংসার পাততে আগ্রহী, কিন্তু অভিনেত্রী স্বামীকে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন- ‘আমি তোমার সঙ্গে থাকতে চাই না’। রোশন নিজের মুখে একথা জানিয়েছেন হিন্দুস্তান টাইমস বাংলাকে।তবে ‘রেস্টিটিউশন অব কনজুগাল রাইটস’ অর্থাত্ বৈবাহিক অধিকারের পুনঃপ্রতিষ্ঠা ধারায় আদাতলে মামলা করেছেন রোশন সিং। চলতি মাসেই এই মামলার শুনানির দিন ধার্য রয়েছে।
বিচ্ছেদ, আইনি লড়াই- এই সবের মাঝে সোশ্যাল মিডিয়ায় একের পর এক ইঙ্গিতপূর্ণ বার্তা দেওয়া থেকে বিরত থাকেন না দুজনেই। একে অপরকে আকারে-ইঙ্গিতে খোঁচা দিতেও ছাড়েন না।
রবিবার মধ্যরাতে ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে রোশন একটি উদ্ধৃতি শেয়ার করে নেন। সেখানে লেখা- ‘কিছু মানুষজন সম্পর্ককে ভিডিয়ো গেম হিসাবে দেখে। তাঁরা গেম খেলে এবং যখন তাঁদের একঘেঁয়ে লাগে তখন তাঁরা ঠকায়'। এই ইনস্টাগ্রাম বার্তায় শ্রাবন্তীকেই খোঁচা দিয়েছেন রোশন, এমনটাই মত নেটিজনদের।
শ্রাবন্তীর ভাঙা সম্পর্কের কথা কারুর অজানা নয়। রাজীব বিশ্বাসের সঙ্গে খুব অল্প বয়সেই বিয়ে করেছিলেন, তবে সুখের ছিল সেই সম্পর্ক তেমনটা বলা যাবে না। দীর্ঘদিন আলাদা থাকার পর ২০১৬ সালে আইনি বিচ্ছেদ হয় দুজনের। সেই বছরই মডেল কিষাণ বিরাজকে বিয়ে করেন নায়িকা। কিন্তু এক বছর পরেই আলাদা হয় এই জুটির পথ। অবশেষে ২০১৯ সালের জানুয়ারি মাসে আইনি বিচ্ছেদ হয় দুজনের। এর মাস কয়েকের মধ্যেই রোশন সিং-কে বিয়ে করেন শ্রাবন্তী। এখন শোনা যাচ্ছে, ইতিমধ্যেই নাকি অভিরূপ নাগ চৌধুরীর সঙ্গে প্রেম সম্পর্ক জড়িয়ে পড়েছেন শ্রাবন্তী।
রোশনের এই ইনস্টা পোস্টের মিনিটখানেকের মধ্যেই পালটা পোস্ট করেন শ্রাবন্তী। ‘সে ক্ষমা করতে জানে’ এই শীর্ষক একটি উদ্ধৃতি শেয়ার করে নেন অভিনেত্রী। সেখানে লেখা রয়েছে- ‘তাঁর হৃদয় অনেক বড়ো, সে জানে না কীভাবে কোনও মানুষকে নিয়ে হাল ছেড়ে দিতে হয়। কারণ সেই মানুষগুলোর ভিতরের ভালো সত্ত্বাকেই সে বিশ্বাস করতে চায়। কিন্তু অনেকটা পথ হাঁটার পর তার সামনে আর কোনও রাস্তা খোলা থাকে না। তাঁর হৃদয়কে যারা জ্বালিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছে… তাঁদের হাত ছেড়ে দিতে হয়’।
তবে কি রোশনের অভিযোগের জবাব দিলেন শ্রাবন্তী?