সলমন খানের লাভ লাইফের অন্যতম চর্চিত নাম সোমি আলি। সল্লু মিঁয়ার হাত ধরেই অভিনয় সফর শুরুর কথা ছিল এই পাক নায়িকার। তবে সেই প্রোজেক্ট মাঝপথেই থমকে যায়। কিন্তু ছবি বন্ধ হলেও জারি ছিল সলমন-সোমির প্রেমের সফর। সোমির কথায়, সেই সময় ১৯৯১ সালে ‘ম্যায়নে প্যায়ার কিয়া’ ছবি দেখে সলমনের জন্য পাগল হয়ে গিয়েছিলেন তিনি। এরপর ষোড়শী সোমি বাবা-মায়ের কাছে বায়না করেছিলেন তিনি সলমনকে বিয়ে করবেন। বাকি আর পাঁচটা বাবা-মায়ের মতো তাঁর বাবা-মা-ও বিষয়টাকে গুরুত্ব দেয়নি। তাই মিথ্যের সাহায্য নিয়ে পাকিস্তান থেকে মুম্বই ‘পালিয়ে’ আসেন তিনি। এরপর সলমনের সঙ্গে পরিচয়, প্রেম- সবটাই ছিল কোনও হিন্দি ফিল্মের পারফেক্ট চিত্রনাট্যের মতো। শোনা যায়, ১৯৯১ সাল থেকে ১৯৯৯ সাল পর্যন্ত প্রেম সম্পর্কে জড়িত ছিলেন সলমন-সোমি।
এক সাক্ষাত্কারে পুরোনো প্রেমের গল্প ফাঁস করেছেন সোমি। 'বুলন্দ' ছবির শ্যুটিং নেপালে পৌঁছেছিলেন তাঁরা। সেই সময়ই সোমি জানিয়েছিলেন তিনি সলমনকে বিয়ে করতে চান। যদিও সল্লু মিঁয়া স্পষ্ট জানান, অন্য একজনের সঙ্গে সম্পর্কে রয়েছেন তিনি। প্রায় এক বছর পর শুরু তাঁদের প্রেমের কাহিনি।

বুলন্দ ছবি কোনওদিন মুক্তির আলো দেখেনি। ফ্রি-প্রেস জার্নালকে দেওয়া এক সাক্ষাত্কারে অভিনেত্রী বলেন, ‘আমরা নেপাল যাচ্ছিলাম। আমি ওর পাশে বসে। আমি তখনই ওঁকে ওঁরই একটা ছবি দেখিয়ে বলি আমি পাকিস্তান থেকে এখানে এসেছি শুধুমাত্র তোমাকে বিয়ে করতে। ও বলেছিল, আমরা একটা গার্লফ্রেন্ড আছে। আমি পালটা বলি, আমি কেয়ার করি না। আমি কখন টিনএজার ছিলাম। আমাদের সম্পর্ক শুরু হয় এক বছর পর, সেই সময় আমার ১৭ বছর বয়স। ওই আমাকে প্রথম বলেছিল- ‘আমি তোমাকে ভালোবাসি’। খুব বেশি সময় লাগেনি, আমি বিশ্বাস করেছিলাম সে কথা'।
এর আগে জুম চ্যানেলকে দেওয়া এক সাক্ষাত্কারে প্রাক্তন নায়িকা জানান, ‘২০ বছর হয়ে গেছে আমাদের সম্পর্ক ভাঙার। ও আমাকে ধোঁকা দিয়েছিল এবং আমি সম্পর্ক ভেঙে দিই, এবং মুম্বই ছেড়ে চিরকালের মতো চলে যাই। হিসাবটা খুব পরিষ্কার’।
সলমনের সঙ্গে প্রেম সম্পর্ক ভাঙার পর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ফিরে যান সোমি। সেখানে নতুন করে উচ্চশিক্ষা শুরু করেন। এরপর লেখিকা, সমাজকর্মী হিসাবে নিজের পরিচয় করে তুলেছেন প্রাক্তন অভিনেত্রী।'নো মোর টিয়ারস' নামের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সোমি। কাজ করেন দক্ষিণ এশিয়ার পিছিয়ে পড়া দেশগুলোতে নারীর ক্ষমতায়ন নিয়ে।