মধ্যরাতে পতৌদি প্যালেসে হানা! ছয়বার ছুরি দিয়ে আঘাত করা হয় সইফ আলি খানকে। মধ্যরাতে ড্রাইভার না থাকায় গাড়ি বা অ্যাম্বুলেন্সে নয়। তড়িঘড়ি করে রক্তাক্ত বাবাকে অটোয় করে হাসপাতালে নিয়ে আসেন ছেলে ইব্রাহিম।
কী জানা গেল সইফের বিষয়ে?
সইফ আলি খানকে অজ্ঞাত পরিচয় দুষ্কৃতি পিঠে ছয়বার আঘাত করেছেন। এরপরই রক্তাক্ত অভিনেতাকে তড়িঘড়ি করে লীলাবতী হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। তাঁর বড় ছেলে ইব্রাহিম আলি খান অটোয় করে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে আসেন এই দুর্ঘটনার পর।
জানা গিয়েছে ২৩ বছরের যুবক ওই মধ্যরাতে কোনও গাড়ি পাননি যেটায় করে তিনি তাঁর বাবাকে হাসপাতালে নিয়ে আসতে পারেন। না ছিল ড্রাইভার, না ছিল গাড়ি প্রস্তুত। তাই তিনি বাধ্য হয়ে যাতে আর সময় অপচয় না হয় বা বাবার বেশি ক্ষতি না হয় তাই তিনি সইফকে অটোয় করে হাসপাতালে নিয়ে যান। প্রসঙ্গত লীলাবতী হাসপাতাল পতৌদি প্যালেস থেকে দুই কিমি দূরেই অবস্থিত। পুলিশের তরফেও এই তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
সম্প্রতি একটি ভিডিয়ো প্রকাশ্যে এসেছে যেখানে দেখা গিয়েছে করিনা কাপুর খান অটোর পাশে দাঁড়িয়ে হাউস স্টাফের সঙ্গে কথা বলছেন। জানা গিয়েছে সইফ আলি খানের মোট ছয়টা আঘাত আছে, এর মধ্যে একটি শিরদাঁড়ার কাছে। তবে ইতিমধ্যেই অপারেশন করা হয়েছে তাঁর। এখন তিনি বিপন্মুক্ত বলে তাঁর টিমের তরফে জানানো হয়েছে। একই সঙ্গে জানানো হয়েছে খান পরিবারের বাকিরা সবাই সুস্থ আছেন।
আরও পড়ুন: ফুল-আলোয় সেজে উঠেছে আলিবাগের বাড়ি! কবে গৃহপ্রবেশ সারছেন বিরাট-অনুষ্কা?
ইতিমধ্যেই পুলিশের তরফে তদন্ত শুরু করা হয়েছে যে ডাকাতি করতে কে বা কারা সইফ আলি খানের বাড়িতে ঢুকেছিল। যদিও সিসিটিভি ক্যামেরাতে কাউকে এই বার ঢুকতে দেখা যায়নি ঘটনাটি ঘটার দুই ঘণ্টা আগে পর্যন্ত। আর সেখান থেকেই মনে করা হচ্ছে যে অনেক আগে থেকেই আততায়ীরা বাড়ি ঢুকে আঘাত হানার অপেক্ষা করছিলেন। পুলিশ তরফে সিসিটিভি দেখা হচ্ছে তাও ভালো করে যাতে আততায়ীকে চিহ্নিত করা যায়। পুলিশের অনুমান বাড়ির কোনও পরিচারক বা পরিচারিকা সাহায্য করেছেন আততায়ীকে ঢুকতে।