বলিউডে একটা সময় ‘নেপোটিজম’ বিতর্ক চরমে উঠেছিল। এখন খানিকটা থিতিয়ে গেলেও তর্ক যে কমে না তা প্রমাণ হল সোনাক্ষী সিনহার কথায়। বরাবরই শোনা যায়, কোনও এক স্টার-কিডের জন্য শেষ মুহূর্তে বাদ পড়ে যেতে হয়েছে কোনও অভিনেতা-অভিনেত্রীকে। দাবি, বিশেষ করে তাঁদের সঙ্গেই এরকম ঘটে, যাদের কোনও পারিবারিক বলি কানেকশন নেই। আর এতেই রেগে যান সোনা।
পিঙ্কভিলাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎাকারের সময় সোনাক্ষীর কাছে জানতে চাওয়া হয়, তিনি কখনও কোনও ছবি থেকে বাদ পড়েছেন কি না! যার উত্তরে ‘শটগান জুনিয়ার’ জানান, ‘হ্যাঁ অবশ্যই! আর কার সাথেই বা হয়নি এমনটা। আমাদেরকেও অবনেক ছবি থেকে বাদ পড়তে হয়। পার্থক্য হল, কেউ তা নিয়ে কাঁদুনি গাইতে যায় না আমাকে ওর জন্য ছবি থেকে বাদ পড়তে হল। ডুড, এটাই লাইফ। আর এটাকে মেনে নিয়েই চলতে হবে।’
সোনাক্ষী আরও বলেন, ‘আমার কথা ছাড়ো, আমার বাবা তো কোনও স্টার-কিড ছিলেন না! তাঁর সঙ্গেও এমনটা হয়েছে। এটা সব অভিনেতাদের সঙ্গে হয়। আসলে আমাদের কেরিয়ারেরই একটা অঙ্গ এটা। একটাই করার, এসব ফেলে এগিয়ে যায়। আরও চেষ্টা করো সাফল্য পাওয়ার।’
শত্রুঘ্ন সিনহা আর পূনম সিনহার মেয়ে সোনাক্ষী। ২০১০ সালে ‘দাবাং’ ছবি দিয়ে সলমন খানের বিপরীতে ইন্ডাস্ট্রিতে পা রাখেন তিনি। সে সময় সোনাক্ষীর ‘মোটা চেহারা’ নিয়ে হয়েছিল নানা সমালোচনা। ওজন কমিয়ে সকলকে চমকে দেন তিনি। ‘রাওডি রাঠোর’, ‘লুটেরা’, ‘আর… রাজকুমার’, ‘ফোর্স ২’র মতো ছবিতে তিনি অভিনয় করেছেন। দেখা গিয়েছে সঞ্জয় দত্ত, অজয় দেবগনদের সঙ্গে ‘ভূজ: দ্যা প্রাইড অফ ইন্ডিয়া’তেও। অ্যামাজন প্রাইমে কিছুদিনের মধ্যে ওয়েব ডেবিউও করতে চলেছেন অভিনেত্রী। যেখানে তাঁকে দেখা যাবে এক পুলিশ অফিসারের চরিত্রে।