চলতি বছরের জুন মাসে অভিনেতা জাহির ইকবালকে বিয়ে করেন সোনাক্ষী সিনহা। সাত বছর প্রেম করার পর গত ২৩ জুন বিশেষ বিবাহ আইন মেনে বিয়ে করেন দুজনে। বছর তিনেক আগে দুজনের প্রেমের গুঞ্জন প্রকাশ্যে এসেছিল, ইনস্টাগ্রামে সম্পর্কের ইঙ্গিত দিলেও কোনওদিন প্রকাশ্যে প্রেম সম্পর্কে সিলমোহর দেননি।
কেন এই লুকোছাপা? তারকা সাংসদের মেয়ের ভিনধর্মে বিয়ে নিয়ে কম চর্চা হয়নি। কটাক্ষের মুখেও পড়েছেন সোনাক্ষী। তবে নিন্দকদের মুখে ঝামা ঘষে মেয়ের খুশিতে সামিল হয়েছিলেন শক্রঘ্ন। CNN-News18 Mumbai Townhall 2024-এর সাথে একটি নতুন কথোপকথনে, সোনাক্ষী প্রকাশ করেছেন যে কেন তিনি তার সম্পর্ককে ব্যক্তিগত রেখেছিলেনয
যা বললেন সোনাক্ষী
সোনাক্ষীর কথায় প্রেম নিয়ে তিনি কুসংস্কারাচ্ছন্ন। সেই কারণেই ‘খারাপ নজর’ থেকে নিজেদের সম্পর্ককে বাঁচিয়ে রাখতে চেয়েছিলেন। সোনাক্ষী বলেন, ‘আমি মনে করি ব্যক্তিগত বিষয়গুলি সর্বদা ব্যক্তিগত রাখা ভাল। আপনি ইতিমধ্যেই লাইমলাইটে রয়েছেন; সবাই তোমার সম্পর্কে সব জানে। আপনার কাছে এত প্রিয় কিছু নিজের জন্য রাখা উচিত। আমাদের দেখা হয়েছিল, আমরা প্রেমে পড়েছিলাম, আমরা বাইরে যেতে শুরু করেছিলাম। আমি খুব তাড়াতাড়ি বুঝতে পেরেছিলাম যে এটি স্থায়ী।’
'জহির আরও বলেন, ‘একজন ছেলে হওয়ায় আমি ভেবেছিলাম এটা নতুন বলেই এমনটা হয়েছে। আমি প্রথম দিন থেকেই জানতাম যে সোনাক্ষীই সেই ব্যক্তি, তবে আমি অনেক পরে এটি গ্রহণ করেছি’।
সলমন খানের ঘনিষ্ঠ বন্ধু তথা ব্যবসায়ী ইকবাল রতনসির ছেল জাহির। সলমনের হাত ধরেই নোটবুক ছবির সঙ্গে বলিউডে অভিষেক হয় জাহিরের। যেখানে তিনি প্রানুতন বহেলের সাথে অভিনয় করেছিলেন। একটি পার্টিতে সলমনই সোনাক্ষীর সঙ্গে জাহিরের পরিচয় করিয়ে দেন। হুমা কুরেশির সহ-প্রযোজিত ডাবল এক্সএল ছবিতে একসঙ্গে কাজ করার পর সোনাক্ষী ও জাহিরের সম্পর্ক আরও দৃঢ় হয়।
সোনাক্ষী এবং জাহির যে তারিখে ডেটিং শুরু করেছিলেন সেদিনই বিয়ে করেছিলেন। ওইদিনই মুম্বাইয়ের রেস্তোরাঁ বাস্তিয়ানে গ্র্যান্ড রিসেপশনের আয়োজন করেন তারা। সোশ্যাল মিডিয়ায় বিয়ের আনুষ্ঠানিক ছবি পোস্ট করে দুজনে লিখেছিলেন ‘এই দিনে, সাত বছর আগে (২৩.০৬.২০১৭) একে অপরের চোখে, আমরা ভালবাসাকে তার বিশুদ্ধতম রূপে দেখেছি এবং এটিকে ধরে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আজ সেই ভালবাসা আমাদের সমস্ত চ্যালেঞ্জ এবং বিজয়ের মধ্য দিয়ে পরিচালিত করেছে ... এই মুহুর্তের দিকে অগ্রসর হওয়া... যেখানে আমাদের উভয় পরিবার এবং আমাদের উভয় দেবতার আশীর্বাদে …আমরা এখন স্বামী-স্ত্রী।’