আগে ভূতে বিশ্বাস করতেন না, কিন্তু একদিন নিজের ঘরেই..., কার উপস্থিতি টের পেয়েছিলেন সোনাক্ষী?

শত্রুঘ্ন সিনহা কন্যা বলিউড অভিনেত্রী সোনাক্ষী সিনহা এই মুহূর্তে ব্যস্ত তাঁর আগামী ছবি 'নিকিতা রায়'-এর প্রচারে। ছবির প্রচারের জন্য এক অনুষ্ঠানে কথোপকথনের সময়, অভিনেত্রী জানান, তিনি কীভাবে নিজের বাড়িতে অলৌকিক কার্যকলাপ অনুভব করেছিলেন। এর প্রভাব এতটাই বেশি ছিল যে, পরদিন নিজের ঘরে ঢুকে তিনি চেঁচিয়ে কথা বলে সেই আত্মার সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করেন, কিন্তু তারপর থেকে তাঁর আর এমন অভিজ্ঞতা হয়নি। সোনাক্ষী বলেন যে এই ঘটনা তাঁর ভূতে না বিশ্বাস করাকে বিশ্বাসকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছিল।

ঠিক কী বলেছেন সোনাক্ষী?

বলিউড হাঙ্গামাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সোনাক্ষী সিনহা বলেন, ‘আমি এসব বিশ্বাস করতাম না। আমি মোটেও নিশ্চিত ছিলাম না। কিন্তু একদিন আমার নিজের বাড়িতেই একটা অদ্ভুত ঘটনা ঘটল। তাই তখন থেকে এসব বিষয়ে আমার বিশ্বাস কিছুটা নড়বড়ে হয়ে গেছে। কিন্তু তারপর আর তেমন কিছু ঘটেনি, তাই ভাবলাম এটা হয়তো স্বপ্ন। আমি জানি না, সম্ভবত এটি একটি বন্ধুসুলভ ভূত ছিল।’

সোনাক্ষী সিনহা আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে ঘটনাটি বর্ণনা করেছেন। হীরামন্ডি খ্যাত এই অভিনেত্রী বলেন, ‘তখন আমি ঘুমিয়ে ছিলাম। ঘুম মানেই হলো যখন আপনি অর্ধেক জেগে থাকেন, কিন্তু পুরোপুরি জেগে থাকেন না। আপনার চোখ বন্ধ থাকে, কিন্তু আপনার মন জেগে থাকে। তাই ঠিক এমনই ছিল। ভোর ৪টা নাগাদ, নাকি আশেপাশের কিছু একটা, আমি ঠিক জানি না এটা স্বপ্ন নাকি অন্য কিছু। কিন্তু হঠাৎ আমার মনে এক ধরণের চাপ অনুভব হলো। যেন কেউ আমাকে জাগিয়ে তুলছে। আমি ভয় পেয়ে গেলাম। আমি চোখও খুলিনি।’

সোনাক্ষী সিনহার কথায়, তিনি যখন তার ঘরে ভূতের সাথে কথা বলছিলেন, তখন সোনাক্ষী বলেছিলেন যে তিনি এতটাই ভয় পেয়েছিলেন যে কেউ আছে কিনা তা দেখার জন্য তিনি চোখও খুলতে পারছিলেন না। তিনি যেমন শুয়ে ছিলেন ঠিক তেমনই নিথর হয়ে থাকলেন। তিনি নড়াচড়া করতে পারছিলেন না। অপেক্ষা করছিল সকাল হওয়ার। তারপর সকাল পর্যন্ত চোখ না খুলেই থাকলেন, একসময় সকাল হলো ঘরে আলো ঢুকে পড়ল।

অভিনেত্রী জানান, এই ঘটনা তাঁকে ভীষণভাবে নাড়া দিয়েছে। সোনাক্ষী জানান, পরদিন গভীর রাতে কাজ করে বাড়ি ফেরার সময় তিনি প্রথমে দরজা খুলে নিজের ঘরে উঁকি দিয়ে জোরে জোরে বলেন- ‘কাল রাতে যা এসেছে, এটা আর করো না। আমি খুব ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম। যদি কথা বলার মতো কিছু থাকে, তাহলে আমার স্বপ্নে আসুন, দয়া করে সামনাসামনি আসবেন না।’