লারা দত্তের মাথায় মিস ইউনিভার্সের তাজ উঠবার ২০তম বর্ষপূর্তিতে সামনে এল এক ‘এপিক’ ছবি। যেখানে একফ্রেমে ধরা দিলেন সাত বিশ্বসুন্দরী। বুধবার এক ফ্যানপেজ এই অদেখা ছবি সামনে আনে। যেখানে ২০০০ সালের মিস ইউনিভার্স লারার সঙ্গে এক মঞ্চে পাওয়া গেল মিস ইউনিভার্স(১৯৯৪) সুস্মিতা সেন, মিস ওয়ার্ল্ড (১৯৯৪) ঐশ্বর্য রাই, মিস ওয়ার্ল্ড (১৯৯৭) ডায়না হেডেন, মিস ওয়ার্ল্ড (১৯৯৯) যুক্তা মুখী, মিস ওয়ার্ল্ড (২০০০) প্রিয়াঙ্কা চোপড়া ও মিস এশিয়া প্যাসিফিক (২০০০) দিয়া মির্জা’কে।
এই ছবি ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে শেয়ার করে নেন সোনম কাপুরও। অনুরাগীদেরও জিয়া নস্ট্যাল এই ছবি দেখে। বিশ্বের দরবারে ইতিহাস রচনাকারী এই সাত সুন্দরীকে একফ্রেমে দেখতে পাওয়া সত্যিই ইতিহাসিক।
প্রথম ভারতীয় হিসাবে মিস ইউনিভার্সের তাজ উঠেছিল সুস্মিতা সেনের মাথায়। ছয় বছর পর ২০০০ সালে দ্বিতীয় ভারতীয় হিসাবে এই বিরল কীর্তি গড়েছিলেন লারা দত্ত। শতাব্দীর একদম শুরুতে সাইপ্রাসে ঘটে যাওয়া সেই ঐতিহাসিক মুহুর্তের বেশ কিছু ছবি ইনস্টাগ্রামে শেয়ার করে নেন লারাও। ধন্যবাদ জানা ফেমিনা মিস ইন্ডিয়া প্ল্যাটফর্মকে।
বিশ্ব সৌন্দর্যের প্রতিযোগীতায় নয়ের দশকে রীতিমতো রাজত্ব করেছেন ভারতীয় নারীরা। নতুন শতাব্দীর শুরুতেই তিনটি সৌন্দর্য প্রতিযোগীতায় সেরা নির্বাচিত হয়ে স্বর্নিম ইতিহাস গড়েছিলেন লারা-প্রিয়াঙ্কা-দিয়া। ২০০০ সালে ফেমিনা মিস ইন্ডিয়ার প্রথম, দ্বিতীয়,তৃতীয় এই তিন সুন্দরী জিতে নিয়েছিল মিস ইউনিভার্স, মিস ওয়ার্ল্ড ও মিস এশিয়া প্যাসিফিকের মুকুট।
এরপর সুদীর্ঘ ১৮ বছর ভারতবাসীকে অপেক্ষা করতে হয়েছে বিশ্ব সুন্দরীর মুকুটে কোনও ভারতীয়র নাম দেখতে। ২০১৮ সালে মানুষী ছিল্লারের হাত ধরে বিশ্ব সৌন্দর্যের প্রতিযোগীতায় ভারতের মুকুট খরা কাটে।
প্রসঙ্গত ২০০৩ সালে আন্দাজ ছবির সঙ্গে বলিউডে রুপোলি পর্দার সফর শুরু করেছিলেন লারা। এরপর ভাগমভাগ, কাল, পার্টনার,ডন সিরিজে দেখা গিয়েছে লারাকে। অভিনেত্রীর শেষ ছবি ছিল ওয়েলকাম টু নিউইয়র্ক। ২০১১ সালে টেনিস তারকা মহেশ ভূপতিকে বিয়ে করেন লারা। তাঁদের একটি কন্যা রয়েছে-সাইরা।