মিঠাই-এর সঙ্গে টিআরপি যুদ্ধে মাত্র কয়েক সপ্তাহ পিছিয়ে থাকাতেই মোহর-কে প্রাইম টাইম থেকে দুপুরের স্লটে সরিয়ে দিয়েছে চ্যানেল কর্তৃপক্ষ। সেই নিয়ে ‘মোহদীপ’ ভক্তদের অভিযোগের শেষ নেই। দুপুরের স্লটে দুর্দান্ত রেজাল্ট মোহর-এর। অনস্ক্রিনে মোহর-শঙ্খ-র রসায়ন যতটা জমজমাট, অফস্ক্রিনেও দুজনের খুনসুটি ততটাই নজরকাড়া। দু-দিন আগেই সোনামণির প্রোফাইল পিকচার দেখে ট্রোল করেছিলেন প্রতীক। আর এবার শঙ্খ স্যারকে হাতেনাতে জবাব দিলেন মোহর।
রবিবার সোনামণি মোহরের শ্যুটিং সেটের একটি ছোট্ট ক্লিপিংস শেয়ার করেন। সেখানে শঙ্খ-র লুকেই দেখা মিলল প্রতীকের। কালো টি-শার্ট, বোতাম খোলা লাল শার্ট পরে পায়ের উপর পা তুলে বসে রয়েছেন প্রতীক। কারুর সঙ্গে আলাপচারিতায় মগ্ন সে, সোনামণি যে তাঁকে মুঠোফোন বন্দি করছে, সেইদিকে হুঁশ নেই। আর সেই ভিডিয়ো শেয়ার করে মহারাজের ‘জন্মগত অ্যাটিটিউড’-এর বিষয়টি তুলে ধরলেন। প্রতীকের অভিব্যক্তি নিয়ে সোনামণি-র এই পোস্ট ঘিরে ব্যাপক শোরগোল সোশ্যাল মিডিয়ায়।
অনুরাগীরা সোনামণি-র কমেন্ট বক্স ভর্তি করেছেন প্রতীকের প্রশংসায়। একজন লেখেন- ‘আমাদের মহারাজ- আর মহারানি, তোমাদের দিয়েই দিন শুরু, আর তোমাদের দিয়েই দিন শেষ’। অন্য একজন লেখেন- ‘সোনাদি তোমাকে অনেক ধন্যবাদ, এই মুহূর্তটা লেন্সবন্দি করবার জন্য'।
শুক্রবার রাতেই সোনামণির ফেসবুকের ডিপি-তে প্রতীক লেখেন, ‘জাপানে কি কোভিড নেই’? সোনামণির মুখে মাস্ক না থাকার জেরেই হয়ত একথা বলেছেন প্রতীক। আসলে সোনামণিকে অনেকেই জাপানি গুড়িয়া বলে থাকে। সেই সূত্রেই জাপানের প্রসঙ্গে টেনেছেন প্রতীক।
দিন কয়েক আগে সোনামণি এক সাক্ষাত্কারে জানান, শঙ্খর মতোই প্রতীক ভীষণ মুডি, তবে কো-স্টার হিসাবে রাহুল (মজুমদার)-এর চেয়ে প্রতীককেই এগিয়ে রেখেছেন তিনি। শঙ্খ-মোহরের অনস্ক্রিন কেমিস্ট্রির চর্চার পাশাপাশি অফস্ক্রিন রোম্যান্সের খবর নিয়ে হামেশাই আলোচনা হয় টলিগঞ্জে। যদিও প্রতীক বহুবার সেই দাবি উড়িয়ে দিয়েছেন। বলেছেন- তাঁরা শুধুই ভালো বন্ধু।