প্রতীক সেন ও সোনামণি সাহা বর্তমানে একসঙ্গে কাজ না করলেও, তাঁদের জুটি ভীষণ মিস করেন দর্শকরা। শুধু তাই নয়, মাঝে দুজনের প্রেম-চর্চা নিয়েও তোলপাড় হয়েছিল সোশ্যাল মিডিয়া। যদিও সেই সময়, হাওয়ায় উড়িয়েছিলেন তাঁরা সম্পর্কে থাকার খবর। কিন্তু দোলে একসঙ্গে ছবি শেয়ার করতেই, নেটিজেনদের চক্ষু যাকে বলে চড়কগাছ। হঠাৎই একফ্রেমে দুজনকে দেখে প্রশ্ন আসছে, ‘তাহলে কি প্রেমটা হল?’
সোনামণি একটি সেলফি শেয়ার করে নেন ফেসবুকে। যেখানে সাদা পোশাকে দেখা গল তাঁকে। পিছনে প্রতীক, ছুঁয়ে আছেন কাঁধ। গালে ঠেকিয়েছেন গাল। আর ক্যাপশনে লেখা, ‘হোলি হোক হ্যাপি’! এখানে দেখা যায় দুটি ইভিল আই ইমোজিও।
প্রতীক আর সোনামণিকে এভাবে একসঙ্গে দেখে আদরে ভরালেন নেটিজেনরা। একজন লেখেন, ‘এর থেকে খুশির আর কী হতে পারে! হ্যাপি হোলি’। আরেকজন লেখেন, ‘একবার শুধু বলে দাও প্রেম করছো তেমরা, আর কিছু চাই না আমি।’ তৃতীয়জন লিখলেন, ‘নজর না লাগে।’
২০১৫ সালে মাত্র ১৮ বছর বয়সেই বিয়ের পিঁড়িতে বসেছিলেন সোনামণি। ডান্স কোরিওগ্রাফার সুব্রত রায়ের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল তাঁর। তবে সেই বিয়ে খুব একটা সুখের হয়নি। বছর দেড়েক যেতে না যেতেই আলাদা হয় পথ।
এক সাক্ষাত্কারে নিজেকে সিঙ্গল বলে দাবি করলে ফেসবুকে প্রকাশ্যে ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন সুব্রত রায়। এরপর জবাব আসে সোনামণির তরফেও। নিজের বক্তব্য স্পষ্ট করে অভিনেত্রী বলেন, ‘এখন আমি সত্যিই সিঙ্গল। আমার স্বামীর সঙ্গে আলাদা আছি। তাই জানিয়েছি আমি বিবাহিত নই’। পাশাপাশি তিনি দাবি করেন, ‘আমি মুখ খুললে তো অনেককে জেলে যেতে হবে’। ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ডিভোর্স হয় সুব্রত ও সোনামণির।

এরপরই সোনামণির নাম জড়াতে শুরু করে প্রতীকের সঙ্গে। মোহর ধারাবাহিকে তাঁদের জুটি এতটাই জনপ্রিয়তা পেয়েছিল যে, একা-দোক্কাতেও টিআরপি বাড়াতে প্রতীকের এন্ট্রি ঘটানো হয়েছিল। তবে সম্পর্ক নিয়ে যখনই প্রশ্ন এসেছে, তখনই তা নস্যাৎ করেছেন দুজন। কিন্তু দোলের ছবি অন্য ইঙ্গিতই দিচ্ছে।
কদিন আগে স্টার জলসা পরিবার অ্যাওয়ার্ডে সোনামণি আর প্রতীককে একসঙ্গে দেখতে পাওয়া গিয়েছিল। এমনিকী, নিজেদের মধ্যে খুনসুটিতেও মেতেছিলেন তাঁরা। সোনামণি-কে তো বারবার ‘সুধা’ বলে ডাকছিলেন ‘মহারাজ’ (উড়ানে প্রতীকের চরিত্র)। এখানেই শেষ নয়, শুভ বিবাহ-র নায়ক ‘তেজ’-কে নিয়ে লেগ পুলও চলছিল। আবার সোনামণি প্রতীকের সঙ্গে মস্করা করে বলছিলেন, ‘আজকাল পূজারিণী (উড়ান-এর নায়িকা) ছাড়া ও কাওকে দেখতেই পায় না’!
তবে দুজনের পরিবার অ্যাওয়ার্ডের রিউনিয়ন নিয়ে প্রতীকের বক্তব্য ছিল, ‘ঠিক যেন দূর সম্পর্কের আত্মীয় সঙ্গে দেখা হল, অনেক কথা হল। আমাদের অনেক দিন বাদে দেখা তাই অবশ্যই ভাল লাগছে।’