৩০ জুলাই, জীবনের আরও একটা বসন্ত পার করে ফেললেন মিউজিক মায়েস্ট্রো সোনু নিগম। মঙ্গলবার ৫১-তে পা দিলেন সোনু। আর তাই সেলিব্রেশন হবে না, তাও কি হয়! বুধবার কেক কেটে নিজের জন্মদিন সেলিব্রেট করলেন শিল্পী, আর সেই সেলিব্রেশনে তাঁর সঙ্গী হলেন সঙ্গীতের সঙ্গে জুড়ে থাকা কিছু খ্যাতনামা ব্যক্তিত্ব।
কারা ছিলেন, সোনুর জন্মদিনের সেলিব্রেশনে?
সোনুর জন্মদিনের সেলিব্রেশনে ছিলেন গীতিকার, কবি জাভেদ আখতার, গজল গায়ক অনুপ জালোটা, শঙ্কর মহাদেবন, অনু মালিক, পাপন, শান, সেলিম মার্চেন্ট সহ আরও অনেকে। এদিন কেক কেটে সেই কেক জাভেদ আখতার, অনুপ জালোটাকে খাইয়ে দিতে দেখা যায় সোনুকে। এদিন সোনুর জন্য আনা একটি কেক এদিন অনুপ জালোটাকেও কাটতে এবং সকলকে খাইয়ে দিতে দেখা যায়। আর সেটা দেখে মজা করে জাভেদ আখতার বলেন, ‘ইনহোনে দুসরে কা কেক কাটা হ্যায়, ইয়ে প্যহেলিবার ম্যায়নে দেখা। আম তরসে লোক এক দুসরে কা রাস্তা কাটতে হ্যায়।(এই প্রথমবার আমি দেখলাম ইনি কারোর কেক কাটলেন, সাধরণত, লোক তো আজকাল অন্যের পথ আটকে দেয়।)'
উত্তরে অনুপ জালোটা বলেন, ‘হাম এক দুসরে কি রাস্তে খোলতে হ্যায় (আমরা একে অপরের রাস্তা প্রশস্ত করি।’ সোনুর জন্মদিনে, মিউজিক ইন্ডাস্ট্রির শিল্পীদের একে অপরের প্রতি ভালোবাসা দেখে মুগ্ধ সঙ্গীতপ্রেমীরা।
এদিন সোনুর জন্মদিনে তাঁর জন্য উপহার নিয়ে হাজির ছিলেন বহু অনুরাগীও। এদিন আন্ধেরিতে নিজের জন্মদিনের সেলিব্রেশনে সোনু তাঁর ডকুমেন্টরি 'সিম্পনি অফ ফেট' প্রদর্শন করে সকলকে অবাক করে দেন।
এদিকে জন্মদিনের আগের দিন রাতেই পছন্দের গায়কের জন্য় কেক নিয়ে তাঁর বাড়িতে হাজির হয়েছিলেন সুরকার সেলিম মার্চেন্ট। আবেগতাড়িত সোনু সেলিমের গালেই চুমু খেয়ে বসেন। এরপর বাড়িতেই কেক কাটা হয়। সেই সেলিব্রেশনে সঙ্গী হয়েছিলেন সোনুর বাঙালি বউ মধুরিমা ও ছেলেও নিভানও।
প্রসঙ্গত, মাত্র ৪ বছর বয়সে মঞ্চে উঠে গান গাইতে শুরু করেছিলেন সোনু নিগম। এরপর মাত্র ১৯ বছর বয়সে বলিউডে কেরিয়ার গড়ার জন্য মুম্বই চলে আসেন গায়ক। তাঁর প্রথম বড় ধরনে সফলতার পেছনে রয়েছে 'বর্ডার' ছবিতে অনু মালিকের সুরে গাওয়া 'সন্দেশে আতি হে' গানটি। সোনুর 'দিওয়ানা' অ্যালবামটি মুক্তি পায় ১৯৯৯ সালে টি-সিরিজের ব্যানারে। সেই অ্যালবামের হাত ধরেই জনপ্রিয়তার শীর্ষে পৌঁছোন সোনু। তাুরপর নিজের কেরিয়ারে হিন্দি ছাড়াও বাংলা, ওড়িয়া, কন্নড়, তামিল, পাঞ্জাবি সহ বহু ভাষায় গান গেয়েছেন সোনু।