লকডাউনে পরিবারের সঙ্গে দুবাইতে ঘরবন্দি সোনু নিগম। করোনা সংকট থাবা বসিয়েছে গোটা বিশ্বের সার্বিক উন্নয়নে। পরিস্থিতি নিয়ে চিন্তিত হলেও খুব বেশি চমকে যাননি ভারতীয় মিউজিক ইন্ডাস্ট্রির এই উজ্জ্বল তারকা। ফিভার নেটওয়ার্কের 100 Hours 100 Stars অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে সোনুর কথায়, এটা ভবিতব্য ছিলই। কারণ গোটা বিশ্ব যেভাবে এগোচ্ছিল তাতে তিনি নিজে আশেপাশের পরিস্থিতির সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে পারছিলেন না।
সোনু বলেন,'আমি জীবনের সব ইচ্ছা হারিয়ে ফেলছিলাম। আমার এমন কিছু বয়স হয়নি,অনেক লক্ষ্য রয়েছে আমার জীবনে তবুও আমি সবকিছুর থেকে আলাদা হয়ে যাচ্ছিলাম। অথচ আমাকে বোঝানো হচ্ছিল যে জীবনে সফল হওয়ার অর্থ হল বলিউড ছবিতে গান গাওয়া।কিন্তু আমি গাইতে চাই না। ১০জন গায়ক একটা গান গাইবে,সেখান থেকে বাছা হবে কার গান থাকবে,তেমন প্রজেক্টের আমি অংশ হতে চাই না। কিন্তু আমাকে লোকজন বোঝাচ্ছে গান না গাওয়ার অর্থ হল তোমার সময় শেষ হয়ে গেছে। আমি কেন একটা গানের সাত নম্বর গায়ক হব? কেন গাইব? কেন ভাই সয়ম্বর চলছে? এত খারাপ অবস্থা চলছে আমার?
গ্ল্যামার দুনিয়া থেকে বেশ কিছুদিন গায়েব ছিলেন তারকা। সোশ্যাল মিডিয়াতে খোঁজ মেলেনি সোনুর। সেই সম্পর্কেও খোলামেলা এই সঙ্গীতশিল্পী। সোনু জানান, 'লাইমলাইট আর ইন্টারনেটে থাকার এই তত্ত্ব আমার মাথায় ঢোকেনি। আমি ফিরে এসেছি কারণ আমার মনে হয়েছে আমার কিছু বলবার আছে। কিন্তু একটা সময় আমি ফেসবুক খুলতাম না, ইনস্টাগ্রামে কমেন্ট দেখা বন্ধ করে দিয়েছিলাম, টুইটার তো ৩ বছর আগে আমি ছেড়ে দিয়েছি। আমি চাইছিলাম না কিছু করতে, বাইরে যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছিলাম।কিন্তু সবাই বলত, এরকম করো না,তোমাকে লাইমলাইটে থাকতে হবে।তাই আমার মাথায় যা চলছিল এবং আমাকে তা বোঝানো হচ্ছিল সেটার মধ্যে কোনও সামঞ্জস্য খুঁজে পাচ্ছিলাম না। এখন আমি বিশ্বের সঙ্গে ফের একবার সংযোগস্থাপন করতে পারছি। আসল সাফল্য হল অদৃশ্যের হাতে নিজেকে সঁপে দেওয়া। জীবনের ছোট ছোট বিষয়ের মধ্যে খুশি খুঁজে নেওয়া। সরলভাবে বাঁচার মধ্যে যে খুশি আছে তা জীবনের জটিলতার মধ্যে খুঁজে পাওয়া যায় না, এটা উপলব্ধি করাটা খুব জরুরি।…তাই আমি এক্কেবারেই চমকে যাইনি যা ঘটেছে'।
করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে দুঃস্থের পাশে দাঁড়াতেই #100Hours100Stars-র উদ্যোগ নিয়েছে ফিভার নেটওয়ার্ট। দেশের সবচেয়ে বড় ডিজিট্যাল এই ফেস্টের মাধ্যমে জরুরি পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের কুর্নিশ জানাচ্ছে ফিভার নেটওয়ার্ক।এই ক্যাম্পেনের মাধ্যমে সংগৃহীত অর্থ দান করা হবে পিএম কেয়ার্স ফান্ডে।