‘চোখের জল মুছে ফেল বোন, আমি আছি’- ঠিক এইভাবেই মাওবাদী এলাকা হিসাবে পরিচিত ছত্তিশগড়ের বস্তরের এক আদিবাসী যুবতীর পাশে দাঁড়ালেন সুপারম্যান সোনু সুদ। করোনা সংকটে যেভাবে নিঃস্বার্থভাবে পরিযায়ী শ্রমিকদের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন সোনু সুদ তা সত্যিই অভাবনীয়। বন্যা কবলিত ছত্তিশগড়েরও এবার পাশে দাঁড়ালেন তারকা। গত পাঁচদিন ধরে লাগতার বর্ষায় রাজ্যের বিস্তীর্ণ এলাকা জলমগ্ন। এর মধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায় এক আদিবাসী কন্যার ভিডিয়ো। যেখানে দেখা যায় বন্যায় তলিয়ে যাওয়া বাড়ির শেষ সম্বলগুলো আগলানোর চেষ্টা করছে সে। ভেজা বই তুলতে তুলতে কান্নায় ভেঙে পড়ে সে।
বীজাপুর জেলার এই আদিবাসী কন্যার ভিডিয়ো দেখে টুইট বার্তায় আশ্বস্ত করে সোনু সুদ বলেন, ‘চোখের জল মুছে ফেলুন বোন, বইও নতুন আসবে, বাড়িও নতুন করে তৈরি হবে’। মাওবাদী অধ্যুষিত কোমালা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার বাসিন্দা অঞ্জলি কুদিয়াম হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে এই যুবতীকে। যাঁর ভিডিয়ো ফেসবুকে পোস্ট করেন মুকেশ চান্দরাকর নামের এক স্থানীয় সাংবাদিক। বৃষ্টির জলে কী মারাত্মক ধ্বংসলীলা চালাচ্ছে তাঁদের এলাকায় সেই ছবি তুলে ধরতে গিয়েই অঞ্জলির এই করুণ পরিস্থিতি লেন্সবন্দী করেন ওই সাংবাদিক।
জানা গিয়েছে অঞ্জলি কুদিয়ামের বাবা পেশায় কৃষক, কিন্তু তাঁদের ৫ একর জমির ফসল বন্যায় পুরোপুরি নষ্ট হয়ে গিয়েছে। তাঁদের পরিস্থিতি দেখে সাহায্যের হাত বাড়িয়েছে স্থানীয় প্রশাসনও।
বুধবার কালেক্টর রীতেশ আগারওয়াল, বিধায়ক বিক্রম মানধাবি অঞ্জলির হাতে তুলে দেন ১.১ লক্ষ টাকা,যাতে নতুন করে বাড়ি তৈরি করবে পারে সে। নার্সিং কলেজের প্রবেশিকা পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছিল অঞ্জলি, তাঁর সমস্ত বই দেওয়া হবে রাজ্যের তরফে আশ্বাস দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
বস্তারের দক্ষিণের বিস্তীর্ণ এলাকা লাগাতার পাঁচদিনের বৃষ্টিতে পুরোপুরি জলমগ্ন। বিজাপুর,সুকমা জেলায় বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে জল। ইতিমধ্যেই বন্যায় মৃত্যু হয়েছে একজনের। ১২০টির বেশি বাড়ি ধসে গিয়েছে, ২০০টি গ্রামে যোগাযোগ ব্যবস্থা পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন। ১৫০০ মানুষকে ইতিমধ্যেই অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।