এখন গোটা দেশের সবচেয়ে পছন্দের,সবচেয়ে ভালোবাসার মানুষটি হলেন সোনু সুদ। হাজার হাজার পরিযায়ী শ্রমিককে নিরাপদে ঘরে ফিরিয়ে 'ইন্ডিয়ার দিল' জিতে নিয়েছেন সোনু।'গরীরের সুপারম্যান', 'শ্রমিকদের ভগবান'-সোশ্যাল মিডিয়ায় এখন নানান নামে ডাকা হচ্ছে সোনু সুদকে। শুধু শ্রমিকদের ঘরে ফেরানোই নয় গত দু মাস ধরে নিয়মিত মুম্বইয়ের হাজার হাজার দুঃস্থ মানুষকে দুবেলা খাবার পৌঁছে দিচ্ছেন সোনু সুদ। সোনুর এই কাজে মুগ্ধ হয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁকে ভারতরত্ন দেওয়ার দাবিও তুলছেন নেটিজেনদের একাংশ।
এবার ভাইরাল হল দেশের এই প্রকৃত নায়ক' এর প্রায় দু দশক পুরোনো ট্রেনের মাসিক টিকিট ও রেলওয়েলর পাস।মাত্র ৪২০ টাকার ট্রেনের এই টিকিটই ভরসা ছিল আজকের এই সুপারহিরোর। দিন কয়েক আগে সোনু নিজেও বলেছেন মায়ানগরী মুম্বইয়ে তিনিও পরিযায়ী হয়েই এসেছিলেন। চোখে ছিল অভিনেতা হওয়ার স্বপ্ন। পঞ্জাবের একদম নিম্ম মধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলে সোনু সুদ।সেখান থেকে মুম্বই এসে শহরতলিতে থাকতেন স্ট্রাগলর সোনু। ট্রেনে করেই সেই সময় বরভালি থেকে চার্চ গেট যাতায়াত করতেন সোনু, চলত নিত্যদিন অডিশন দেওয়ার পর্ব। ১৯৯৭ সালে ইস্যু এই রেলের পাসে দেখা যাচ্ছে সোনুর বয়স ২৪ বছর। এবং ট্রেনের টিকিটটি ১৯৯৮ এর মার্চ মাসের।
এই ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করে এক নেটিজেন লেখেন, 'যিনি একসময় নিজে কষ্ট করেছেন, তিনি অন্য মানুষের কষ্টটা বুঝবেন সেটাই স্বাভাবিক।' সেই টুইট রিটুইট করে সোনু সুদ লেখেন, 'জীবন আসলে একটা গোল বৃত্ত'।
পরিযায়ীদের জন্য সোনু সুদ যা করছেন তা সত্যি প্রশংসনীয়। ঘরের ছেলে সোনুর প্রশংসা করেছেন পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিং। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানিও মুগ্ধ তাঁর দীর্ঘদিনের বন্ধু তথা অভিনেতা সোনুর এই মানবিক অবতার দেখে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় এখন একটাই রব- 'ট্রেন থাক না থাক পরিযায়ীদের জন্য সোনু সুদ আছে'। শুক্রবারই কেরালার এরনাকুলামে আটকে থাকা ওড়িশার ১৬৭ মহিলা শ্রমিককে এয়ারলিফট করান সোনু। বিশেষ বিমানে নিরাপদে তাঁদের পৌঁছে দেন সুপারম্যান সোনু সুদ বাড়িতে।