ফের ত্রাতার ভূমিকায় সোনু সুদ! বিমানবন্দরে জীবন বাঁচালেন এক ব্যক্তির, পেলেন বাহবা

‘মসিহা’ সোনু সুদ দুবাই বিমানবন্দরে প্রাণ বাঁচালেন এক ব্যক্তির। ইমিগ্রেশন অফিসার থেকে শুরু করে সেখানে উপস্থিত সকল ব্যক্তির কাজ থেকে জিতে নিলেন বাহবা। এমন কী করলেন?

বিমানবন্দরে যাত্রীর জীবন বাঁচালেন সোনু সুদ। 

করোনা আর লকডাউনে লোকের মনে জায়গা করে নিয়েছেন অভিনেতা সোনু সুদ। গোটা দেশের কাছে ‘মসিহা’ হয়ে পড়ছিলেন তিনি। একসময় যাকে সকলে চিনত সিনেমায় নেতিবাচক চরিত্রে অভিনয়ের কারণে, এখন তিনিই সকলের ভালোবাসা। ফের খবরে এলেন সোনু, এবং অবশ্য়ই ইতিবাচক কারণে। এক মানুষের জীবন বাঁচানোর কারণ হলেন তিনি। 

ETimes-এর একটি প্রতিবেদন অনুসারে, অভিনেতা সম্প্রতি দুবাই থেকে ফিরছিলেন এবং ইমিগ্রেশন সেন্টারে একটি অপ্রত্যাশিত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। যাইহোক, সোনু সুদ দ্রুত পরিস্থিতির সমাধান করে ফেলেন। ওই ব্যক্তিকে নতুন জীবনদান করেন বললেও ভুল হবে না। 

রিপোর্ট অনুসারে, সোনু ইমিগ্রেশন কাউন্টারে ছিলেন। সেইসময় একজন মধ্যবয়সী ব্যক্তি জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। সোনু তারপর সেই ব্যক্তির মাথাটাকে কুশন করে অবিলম্বে কার্ডিওপালমোনারি রিসাসিটেশন (সিপিআর) দিতে শুরু করেন। মিনিট দুয়েক পর ওই ব্যক্তির জ্ঞান ফিরে আসে। গোটা ঘটনায় ইমিগ্রেশন অফিসাররা ছাড়াও সেখানে উপস্থিত সাধারণ মানুষ ধন্যবাদ জানাতে থাকেন তাঁকে। ওই ব্যক্তিও নিজের জীবন বাঁচানোর জন্য ধন্য়বাদ জানিয়েছেন ‘সিম্বা’ অভিনেতাকে। 

সম্প্রতি সোনুর একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। যেখানে দেখা যাচ্ছে চায়ের দোকানে দাঁড়িয়ে তিনি এক ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলছেন। পরে দোকেন যিনি তাঁদের জন্য কফি বানাচ্ছিলেন তাঁদের সঙ্গেও পরিচয় করিয়ে দেন সোনু। একটু দূরে দাঁড়িয়ে থাকা দুজনের সঙ্গেও পরিচয় করান। তারপরেই সোনু বুঝতে পারেন দূরে থাকা মানুষদের মধ্যে একজন গুটখা খাচ্ছে। সরাসরি প্রশ্ন করেন সোনু, ‘তুমি কি গুটখা চিবাচ্ছ?’ উত্তর ‘হ্যাঁ’ এলে তিনি গিয়ে ফেলে আসার কথা বলেন। এরপর সেই ব্যক্তি ফিরে এলে সোনু উপদেশ দেন গুটখা না খাওয়ার, কারণ তা শরীরের জন্য মোটেও ভালো নয়। এমনকী পানের দোকানের মালিককেও অনুরোধ করেন যাতে তিনি এসব বিক্রি না করেন।

বরাবরই এভাবে গোটা দেশের মনে জায়গা করে নেন সোনু। এবারেও এই খবর ছড়িয়ে পড়তে হল ধন্য ধন্য। 

কাজের সূত্রে সোনু সুদকে শেষ দেখা গিয়েছিল সম্রাট পৃথ্বীরাজ ছবিতে। খুব জলদি ফিরবেন একটি অ্যাকশন থ্রিলার নিয়ে। এই ছবির প্রযোজনাও করেছেন তিনি। পরিচালনার দায়িত্বে বৈভব মিশ্র। রিপোর্ট অনুসারে, সত্য ঘটনা অবলম্বনে তৈরি হয়েছে এই সিনেমা।