সময়টা ২০২০ সাল। চারদিকে মহামারী, লকডাউনের কোপে নাভিশ্বাস ওঠার মতো অবস্থা। এরই মাঝে পরিযায়ী শ্রমিক থেকে গরীব মানুষদের কাছে মাসিহা হিসেবে উঠে এলেন সোনু। করে চললেন একের পর এক কাজ। নিজের সবটুকু সঞ্চয় দিয়ে পাশে দাঁড়ালেন মানুষের। এখনও তিনি বহু মানুষেরই বিপদ আপদের সময় তাঁদের সঙ্গে থাকেন। অভিনেতা হিসেবেও তাঁর যথেষ্ট সুনাম আছে। বলিউডের অন্যতম চেনামুখ তিনি।
এতদিন ধরে সোনু দুঃস্থ, গরীব শিশুদের পড়াশোনার দায়ভার নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছিলেন। এবার একটি আস্ত স্কুল বানাতে উদ্যোগী হলেন তাঁদের জন্য। সোনু সুদ দুঃস্থ শিশুদের জন্য যা করেছেন সেটার অবদানকে স্বীকৃতি দিতে বিহারের কাটিহারে এক ইঞ্জিনিয়ার অনাথ শিশুদের জন্য একটি স্কুল তৈরি করেছিলেন। সেই স্কুলের নাম তিনি এই অভিনেতার নামেই রেখেছেন। এবার সোনু নিজে এগিয়ে এলেন তাঁকে সাহায্য করার জন্য। এই অনাথ শিশুদের জন্য আরও একটি স্কুল বাড়ি নির্মাণ করা হবে, আর সেটারই খরচ জোগাবেন খোদ সোনু।
বীরেন্দ্র কুমার মাহাতো নামক সেই ইঞ্জিনিয়ার মাত্র ২৭ বছর বয়সেই এই স্কুল বাড়ি তৈরি করেছেন অনাথ শিশুদের লেখাপড়ার জন্য। বর্তমানে তাঁর স্কুলে ছাত্রের সংখ্যা ১১০ জন। তিনি নিজের চাকরি ছেড়ে দিয়ে এই শিশুদের নিয়েই আছেন। তাঁর এই উদ্যোগের কথা জানতে পেরে ২০২৩ -এর ফেব্রুয়ারি মাসে তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন সোনু। জানেন সকলের বিষয়ে নানা খুঁটিনাটি জিনিস। তখনই তিনি বীরেন্দ্র পাশে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নেন। এবং জানান আরও একটি বিল্ডিং এই স্কুলের জন্য তিনি তৈরি করে দেবেন। এমনকি তিনি এখানকার ১১০ জন পড়ুয়ার খাবার দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নেন।
সোনু এই বিষয়ে বলেছেন, 'দারিদ্র রোধ করতে চাইলে সবার আগে শিক্ষার প্রসার ঘটাতে হবে। আর্থিক ভাবে পিছিয়ে পড়া পরিবারের শিশুদের আমরা যথাযথ শিক্ষার সুযোগ দিতে চাই। আমরা চাই ওরা ভালো করে পড়ে যাতে আগামীতে ভালো চাকরি করে।'
কেবল বিহারের এই স্কুল নয়, সোনু বর্তমানে মোট ১০ হাজার জন পড়ুয়ার শিক্ষার ভার বহন করছেন গোটা দেশ জুড়ে। তিনি বিহারের এই স্কুলের আরও একটি স্কুল বিল্ডিং বানানোর জন্য এই কারণেই তৎপর যাতে সেখানে আরও বেশি সংখ্যক শিশুকে জায়গা দেওয়া যেতে পারে। যাতে আরও বেশি শিশু শিক্ষার আলোয় আলোকিত হতে পারে।