বাংলা নিউজ > বায়োস্কোপ > খুনির ধর্ম বদলে শ্রদ্ধা-কাণ্ড ‘ক্রাইম পেট্রোল’-এ? বিতর্কের পর সাফাই চ্যানেলের

খুনির ধর্ম বদলে শ্রদ্ধা-কাণ্ড ‘ক্রাইম পেট্রোল’-এ? বিতর্কের পর সাফাই চ্যানেলের

বিতর্কের মুখে ক্রাইম পেট্রোল টিম

হিন্দু সহবাস সঙ্গীর হাতে খুন খ্রিস্টান প্রেমিকা! শ্রদ্ধা মার্ডার কেসের ছায়ায় তৈরি গল্পে অভিযুক্তের ধর্ম পালটে তোপের মুখে চ্যানেল কর্তৃপক্ষ। ক্ষমা চেয়ে এপিসোডের পরবর্তী ভাগ না দেখানোর কথা ঘোষণা সোনি টিভির। 

২০২২ সালে সাড়া জাগানো খুনের ঘটনা শ্রদ্ধা ওয়াকার মার্ডার কেস। দেশের রাজধানীতে সহবাস সঙ্গী আফতাব পুনাওয়ালার হাতে খুন হন ২৭ বছর বয়সী শ্রদ্ধা ওয়াকার। এই বহুল চর্চিত হত্যাকাণ্ডের ছায়া সম্প্রতি নজরে এসেছে ‘ক্রাইম পেট্রোল’-এর এপিসোডে। সেই নিয়ে বিতর্কের মুখো সোনি চ্যানেল কর্তৃপক্ষ। সোশ্যাল মিডিয়ায় তুলোধনা শুরু হতেই বিবৃতি দিয়ে সাফাই পেশ করল চ্যানেল।

সোনি লিভ-এর টুইটার হ্যান্ডেলে একটি বিবৃতি পোস্ট করে চ্যানেল জানিয়েছে বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকা এপিসোডটি সম্পূর্ণরূপে কাল্পনিক, এর সঙ্গে শ্রদ্ধা মার্ডার কেসের কোনওরকম সম্পর্কের কথা উড়িয়ে দিয়েছে চ্যানেল।

বিবৃতিতে লেখা রয়েছে, ‘কিছু দর্শক সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে লিখেছেন ক্রাইম পেট্রোলের একটি সাম্প্রতিক এপিসোড সম্প্রতি সংবাদমাধ্য়মে আলোচিত একটি ঘটনা অবলম্বনে তুলে ধরা হয়েছে। এটি ঠিক নয়। ওই এপিসোড সম্পূর্ণরূপে কাল্পনিক, এবং ২০১১ সালের এক ঘটনার সঙ্গে ওই ঘটনার খানিক মিল রয়েছে’।

চ্য়ানেল কর্তৃপক্ষের তরফে আরও জানানো হয়, ব্রডকাস্টিং অথোরিটির সবরমক নির্দেশিকা মেনেই তাঁরা কনটেন্ট তৈরি করেন। কোনও ধর্ম বা সম্প্রদায়েরে মানুষকে আঘাত করা তাঁদের উদ্দেশ্য নয়। ওই এপিসোড কারুর ভাবাবেগে আঘাত হেনে থাকলে ক্ষমা চেয়ে নেয় চ্যানেল, পাশাপাশি ওই এপিসোডের পরবর্তী অংশ সম্প্রচার না করবার কথাও জানানো হয়।

‘ক্রাইম পেট্রোল’-এর ওই এপিসোডে ‘আহেমদাবাদ-পুনে মার্ডার কেসে' যে গল্প উঠেছিল তার সঙ্গে শ্রদ্ধা মার্ডার কেসের অদ্ভূত মিল রয়েছে। তবে বিতর্ক তখন লাগাম ছাড়ায় যখন নেটিজেনদের নজরে আসে নির্মাতারা অভিযুক্ত সহবাস সঙ্গীকে হিন্দু হিসাবে তুলে ধরেছে। তাঁর চরিত্রের নাম মিহির। খ্রিস্টান প্রেমিকাকে খুন করে টুকরো টুকরো করে কেটে ফ্রিজে ভরে রাখে সে। ধর্ম পালটে

২০২২ সালের মে মাসে খুন হন শ্রদ্ধা। অভিযোগ শ্রদ্ধাকে খুন করবার পর সহবাস সঙ্গী তাঁর দেহ অন্তত ৩৫ পিস করে ফেলেছিল। এরপর সেই দেহ আফতাব বিভিন্ন জায়গায় ফেলে দেয়। তবে তার আগে দেহটি সে একটি ৩০০ লিটার ফ্রিজে রেখে দিয়েছিল। এরপর একে একে দেহাংশগুলিকে দিল্লি ও গুরুগ্রামের জঙ্গলে ফেলে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ।

 

 

বন্ধ করুন