আপাতত স্থিতিশীল সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার বিকালে বেলভিউ হাসপাতাল সূত্রে পাওয়া খবরে মিলেছে। তাঁর অঙ্গপ্রত্যঙ্গ সচল রয়েছে। তবে এখনও তিনি সম্পূর্ণ সঙ্কটমুক্ত নন বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসরা।
চোখ টানা খুলে রাখতে পারছেন বেশ তিনি। ডাকলেও সাড়া দিচ্ছেন। ঠিক ১৪ দিনের মাথায় গত বুধবার সন্ধ্যায় তাঁর কোভিড রিপোর্টও নেগেটিভ এসেছে। দু'ধরনের নতুন চিকিৎসাও শুরু করেছেন চিকিৎসকরা।
হাসপাতাল সূত্রে খবর , তাঁর মাঝেমধ্যে বাইপ্যাপ সাপোর্ট লাগছে বটে তবে তা দিনে ছয় ঘন্টার বেশি নয়। বর্তমানে তাঁর শরীরে অক্সিজেন মাত্রা ৯৭%। আচ্ছন্ন ভাবও অনেক কমেছে। তবে সৌমিত্রের প্রস্টেটের পুরনো কর্কটরোগ ফিরে এসেছে। অবশ্য ফেলুদার চিকিৎসায় সাড়া দেওয়ার ফাইটব্যাক দেখে আশায় দিন গুনছেন চিকিৎসকরাও। জানা গিয়েছে, অভিনেতার শরীরে সোডিয়াম-পটাশিয়ামের মাত্রা আগের মতো খুব একটা আর হেরফের হচ্ছে না। এমনকী ভেন্টিলেশনে দেওয়ার কোনও প্রয়োজন পড়ছে না এখনই।মানসিক অস্থিরতা কাটাতে মিউজিক থেরাপিরও সাহায্য নেওয়া হচ্ছে।
তবে অভিনেতার চিকিৎসার জন্য নিয়োজিত ১৬ সদস্যের মেডিকেল বোর্ডের প্রধান ক্রিটিক্যাল কেয়ার বিশেষজ্ঞ অরিন্দম কর বুধবার জানান, প্রথম থেকেই করোনা আসলে খুব একটা ঝামেলা পাকায়নি। বরং, করোনার সূত্রে মস্তিষ্কের যে সমস্যা (কোভিড রিলেটেড এনসেফালোপ্যাথি) তৈরি হয়েছে, তার প্রভাব নিয়েই আগাগোড়া চিন্তিত তাঁরা। তবে বুধবার থেকেই দেখা গিয়েছে, স্নায়বিক উন্নতির পাশাপাশি অশীতিপর অভিনেতার লিভার ও কিডনির ক্রিয়াকলাপ এবং রক্তে অ্যামোনিয়ার পরিমাণের মতো সূচকগুলিও রয়েছে নিয়ন্ত্রণে। হৃদযন্ত্রের কাজ, রক্তচাপ, শ্বাসপ্রশ্বাস, প্রস্রাব- সবই উন্নতির পথে।
সিওপিডি-র দীর্ঘ দিনের রোগী হওয়া সত্ত্বেও নভেল করোনাভাইরাস তাঁর ফুসফুসকে কাহিল করতে পারেনি। ৪৮ ঘণ্টায় তাঁর আর জ্বর আসেনি।কাজেই অনুরাগীরাও আশায় বুক বাঁধছেন ; ফাইট ফেলুদা ফাইট।