বনগাঁ : দীর্ঘদিনের ইচ্ছা ছিল। কিন্তু ব্যস্ততার কারণে কখনও সময় হয়ে ওঠেনি। তাই বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্মভিটেতে যেতে পারেননি। তবে সাহিত্যিকের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের।
ব্যক্তিগতভাবে বরাবরই সৌমিত্রবাবুর সাহিত্যের প্রতি অসীম টান ছিল। বই পড়তে ভালোবাসতেন। তারইমধ্যে বাংলার অন্যতম শ্রেষ্ঠ সাহিত্যিকের কাহিনির হাত ধরে সিনেমার জগতে প্রবেশ করেছিলেন সৌমিত্রবাবু। তিনি হয়ে উঠেছিলেন ‘অপু’। এমনিতেই বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাহিত্য নিয়ে ছবি করার সময় সাহিত্যিকের স্ত্রী'র সঙ্গে আলোচনা করে নিতেন সত্যজিৎ রায়। ফলে তখন থেকেই বিভূতিভূষণ পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ আরও ভালো হয়েছিল ‘অপু’-র। সেই যোগাযোগ বরাবর রেখে গিয়েছেন সৌমিত্রবাবু।
বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুত্র তারাদাস বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রী মিত্রা বন্দ্যোপাধ্যায়কে উদ্ধৃত করে আনন্দবাজার পত্রিকা জানিয়েছে, তারাদাসবাবুর সঙ্গে সৌমিত্রবাবুর মাঝেমধ্যে কথাবার্তা হত। বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করতেন তাঁরা। মিত্রা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, ‘অশনি সংকেত’-এর প্রিমিয়ারে সৌমিত্রবাবুর সঙ্গে দেখা হয়েছিল তাঁর। পরে সত্যজিৎবাবুবর স্ত্রী সন্দীপ রায়ের বৌভাতেও সিনেমার ‘অপু’-র সঙ্গে দেখা হয়েছিল। শুধু তাই নয়, তাঁরা দু'জনই কৃষ্ণনগরে থাকতেন। থিয়েটারের কারণে মিত্রাদেবীর বাবা অম্বুজকুমার মৌলিকের সঙ্গে সৌমিত্রবাবুর পরিবারের সম্পর্ক ছিল। এমনকী সেই সময় সৌমিত্রবাবুর বাড়িতে পড়তে যেতেন মিত্রাদেবী।